অর্থমন্ত্রীর কাছে `বুঝতে' চান শিক্ষকরা

অর্থমন্ত্রীর কাছে `বুঝতে' চান শিক্ষকরা

শিক্ষাঙ্গণ ডেক্স : বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ভাষ্য, ‘শিক্ষকরা না বুঝেই আন্দোলন করছেন’। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ভাষ্য, ‘অর্থমন্ত্রী যদি এতই বুঝে থাকেন’ তাহলে তাদের ডেকে নিয়ে বুঝিয়ে দিলেই হয়।

অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।

শিক্ষকদের দাবি ও কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রবিবার সচিবালয়ে বলেন, “শিক্ষকরা না বুঝেই আন্দোলন করছেন। তাদের দাবির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে যে সমস্যা ছিল, সে তো সমাধান হয়েছে।”

অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা ভঙ্গ করেছেন। তিনি শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে উল্টো শিক্ষকদের ফের অপমানের চেষ্টা করছেন। এটি শিক্ষকসমাজ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।

মাকসুদ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অধ্যাপকরা সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পাবেন। কিন্তু সেটা না করে জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের স্তরে নিয়ে গেলেন। এটি করে দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের অপমান করেছেন অর্থমন্ত্রী। জাতীয় অধ্যাপকরা তো বেতন কাঠামোর ঊর্ধ্বে। তাদের কেন বেতন কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এলেন তিনি।”

এই শিক্ষক নেতা আরো বলেন, “আমরা যদি বেতন-কাঠামো না বুঝে আন্দোলনে নেমে থাকি, তাহলে অর্থমন্ত্রী আমাদের ডেকে নিয়ে তা বুঝিয়ে দিক।”

গতকাল শনিবার অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যার সমাধানের দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষাও নেয়া হবে না। চলবে না সান্ধ্য কোর্স।

অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।