ওয়ালটন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত! ৪-১ এর ব্যবধানে জয়

ওয়ালটন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত! ৪-১ এর ব্যবধানে জয়

স্টাফ রিপোর্টার :  টাঙ্গাইলের আউলটিয়ায় ওয়ালটন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডি জি মর্ডান ক্লাব আয়োজিত ফাইনাল খেলায় কুমুল্লি খানপাড়া ক্রীড়া সংঘ ৪-১ গোলে শুভ সকাল ক্রীড়া সংঘকে পরাজিত করে।

শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আউলটিয়া খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডাইরেক্টর উদয় হাকিম। ৩ নং ঘারিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সোহেল কাশেমের সভাপতিত্বে আয়োজিত খেলার উদ্ভোধন করেন ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি ডাইরেক্টর মো: শাহজাদা সেলিম।

১ঘন্টার ম্যাচে শুরু থেকেই শুভ সকাল ক্রীড়া সংঘকে চাপে রাখে কুমুল্লি খানপাড়া ক্রীড়া সংঘ। প্রথমার্ধে খেলার ১২ মিনিটের মাথায় কুমুল্লি থানপাড়া ক্রীড়া সংঘের ৬নাম্বার জার্সিধারী খেলোয়ার আকাশের শটে শুভ সংঘের জালে বল গড়ায়। তিন মিনিট বিরতির পর ৯ নাম্বার জার্সিধারী খেলোয়ার রাসেলের গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় কুমুল্লি খানপাড়া।

প্রথমার্ধে ছন্দপতনের পর দ্বিতীয় আর্ধের শুরুতেই আক্রমনে যায় শুভ সংঘ। দলের ১০ নাম্বার জার্সিধারী খেলোয়ার জনির গোলে ২-১ এ গোলের ব্যবধান কমিয়ে আনে তারা। আর তার পরক্ষণের কুমুল্লি খানপাড়ার ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়ার ইলিয়াসের টানা দুই গোলে ৪-১ এ নির্ধারিত সময় শেষ করে দুই দল।

শেষে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ২১ ইঞ্চি ও রানার্সআপ দলের হাতে ১৪ ইঞ্চি ওয়ালটন টেলিভিশন তুলে দেন প্রধান অতিথি উদয় হাকিম। এসময় তিনি বলেন, এই এলাকার কয়েকজন সন্তান আজ ওয়ালটন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে। এক সময় বিদেশ থেকে এই দেশে জাহাজে করে ইলেকট্রনিক্স পন্য আসতো। কিন্তু আজ ওয়ালটন গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর এখন এদেশ থেকে বিদেশে পন্য যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্যের অনেক গর্বের বিষয়। একটা সময় বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যেতো। কিন্তু এখন আমাদের বিদেশে টাকা দিতে হচ্ছে না, বরং বিদেশ থেকে টাকা আসছে। এসময় তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন গ্রুপ সবসময়ই খেলাধুলায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আগামীতেও আমরা খেলাধুলায় এই গুরুত্ব দিয়ে যাবো।
খেলায় ম্যাচসেরা খোয়োর নির্বাচিত হন কুমুল্লি খানপাড়ার রাজীব বর্মন। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন শহিদুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ ও হারুন অর রশিদ। ধারাভাষ্যকার ছিলেন মাহাথির মাসুদ।