সখীপুর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংতা নেই, তবু স্বস্তি ছিল না

সখীপুর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংতা নেই, তবু স্বস্তি ছিল না

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :  সখীপুর পৌরসভা ভোটের দিন পার হয়েছে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই। তারপরও স্বস্তি ছিল না। মেয়র পদে চার প্রার্থীর তিন জনই দিনভর কারচুপির অভিযোগ করেন। এক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। তাদের কিছু কিছু অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

সখীপুরে ভোটের মাঠে মূল লড়াইয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু হানিফ আজাদ ও বিএনপির বিদ্রোহী সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব (জগ প্রতীক)। বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিনের উল্লেখযোগ্য ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে মূল লড়াইয়ে ছিলেন না। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আয়নাল শিকদার ছিলেন সবার শেষে। ভোটপ্রাপ্তিতেও একই চিত্র ফুটে ওঠেছে। ৯ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবু হানিফ আজাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সানোয়ার পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৯৯ ভোট।

সকাল আটটায় সখীপুর পৌরসভার ৯ কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহন শুরু হয়। ভোটার সংখ্যা ১৯ হজার ৬২৩ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল কেন্দ্রগুলোতে। ছিল ভোটারের লম্বা সারি। উপস্থিত ভোটাররা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন। নারীরাও নির্বিঘেœ ভোট দিচ্ছেন।’

তবে এই উৎসবমুখর পরিবেশ বেশীক্ষণ টিকেনি। সকালে কেন্দ্রগুলোতে বাংলাদেশের নির্বাচনী ঐতিহ্য অনুযায়ী এমন সম্প্রীতির ভাব দেখা গেলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে কারচুপির অভিযোগ আসতে শুরু করে। ভোটারের লম্বা লাইনও কমতে শুরু করে। বিকেল তিনটার দিকে ৩, ৭ ও ৮ নম্বর কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সারোয়ার হোসেনের পোলিং এজেন্ট ফিরোজ আলম বলেন, পরিচয়পত্র রেখে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। দুপুরের পর ১,২,৩,৫, ৭ ও ৮ নম্বর কেন্দ্র থেকে একই অভিযোগ আসে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সানোয়ার হোসেন এসব কেন্দ্রে পুনর্ভোটের দাবি জানান। একই দাবি ছিল বিএনপি প্রার্থীর। নির্বাচন বর্জন করেন জাপা প্রার্থী। তবে এসব অভিযোগ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু হানিফ আজাদ । তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

মেয়র পদের ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও, কাউন্সিলর পদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রায় সব প্রার্থী কেন্দ্রের সামনে বিনা বাধায় ক্যাম্প খুলেন।  ভোটাদের বাড়ি বাড়ি থেকে আনা ও ভোটার নম্বর খুঁজে দিয়ে ভোট দিতে সাহায্য করার মতো নির্বাচনী ধরে রেখেছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাই।