টাঙ্গাইলে জমে উঠছে গরিবের শীতের কাপড়ের মার্কেট

টাঙ্গাইলে জমে উঠছে গরিবের শীতের কাপড়ের মার্কেট

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী :  ‘দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, একদাম এক রেট, পাঁচ টাকা, দশ টাকা।’ ‘পঞ্চাশ টাকা- পঞ্চাশ টাকা’। ‘একশ, দেড়শ টাকা’ একটা নিলে একাটা ফ্রি।  এভাবেই নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের মাঝে  শীতের পোশাক বিক্রি করছে টাঙ্গাইল শহরের কোর্ট চত্ত্বর ও ডিস্ট্রিক্টের শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা।  পৌষ ও মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীতকে সামনে রেখে এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। পা থেকে মাথা পযন্ত শীত নিবারণ করতে গরম কাপড়ের ক্রয়ের প্রতি ঝুঁকছে মানুষ। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামি দামি র্মাকেট থেকে বিভিন্ন দামি গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা কোর্ট চত্ত্বর, ডিস্ট্রিক্ট ও হকারদের বিক্রি করা গরম কাপড়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, , কোট চত্ত্বর ও ডিস্ট্রিক্টের খোলা মাঠের শীতের কাপড় নিতে কাপড় ব্যবসায়ীরা বসে আছেন, এবং সাধারণ মানুষ কিনছেন। কোট চত্ত¡র ও ডিস্ট্রিক্টের খোলা মাঠের শীতের কাপড়ের মাকেটটি মূলত গরিবের মাকেট হিসেবে পরিচিত। এখানে সব সবধরনের মানুষ কাপড় কিনে থাকে। কিন্তু এখন বর্তমানে উচ্চ আয়ের লোকজনেরাও এখান থেকে কাপড় কিনছেন।   এই মাকেটগুলোতে ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত ও কাপড় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোর্ট চত্ত্বরের কাপড় মোহাম্মদ আয়নাল ব্যবসায়ী  বলেন, সোয়েটার,  ট্র্যাকশুট, মুজা, টুপি, ছোট ছোট বাচ্চাদের কাপড়, ট্রাওজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি। আমরা চিটাগাং এর আমিন মাকেট থেকে বেল হিসেবে এই সব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। বিভিন্ন ধরনের বেল বিভিন্ন রকমের। সোয়েটারের ছোট বেল ৬০০০ টাকা,  ট্র্যাকশুট ১৮ হাজার টাকা, ব্যাগ ১৮ হাজার টাকা,  বড় সোয়েটার ১৫ হাজার।  এতে আমার লাভবান হই। গত বছর আমার খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা, লাভ হয় ১ লাখ টাকা। আস্তে আস্তে শীত বাড়ছে, লোকজন শীতের কাপড় কিনছে। এবারও আমি আশা করছি শীতের কাপড় বিক্রি করে লাভবান হব।

ডিস্ট্রিক্টের গরম কাপড় ব্যবসায়ী সজিব বলেন, আমাদের এই খানে ৫ টা থেকে শুরু করে  হাজার টাকা পর্যন্তও শীতের কাপড় পাওয়া যায়। আমরা শীতের সকল কাপড় বিক্রি করে থাকি। আমরা একটি বেল সবনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সবোচ্চ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনি। একটি বেলে বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় থাকে।