স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর নির্দেশ

স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর নির্দেশ

অর্থনীতি ডেক্স : স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলতে লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্কুল ব্যাংকিংকে গতিশীল ও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়,  ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর জারি করা নির্দেশনা ছাড়াও নতুন নির্দেশনায় স্কুল ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলার হার কমে আসায় এ নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ থেকে জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে সব ব্যাংক নিজ ব্যাংকের জন্য একটি করে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরবর্তী বছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপকে জানাতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, তফসিলি ব্যাংকের প্রতিটি শাখা বছরে ন্যূনতম একবার তার কর্ম এলাকার মধ্যে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ লক্ষ্যে সব ব্যাংক শিক্ষার্থীদের উপযোগী আর্থিক শিক্ষা উপকরণ (পুস্তিকা, লিফলেট, ব্রশিউর, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টশন, ভিডিও প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি) প্রস্তুত করবে। এ কর্মসূচি আগামী জানুয়ারির মধ্যেই শুরু ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিবেদন করতে হবে।

আগে দেওয়া এক নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ অন্য ফি নেওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সেবা দেওয়ার বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম নিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সুযোগ থাকলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের গতি বাড়াতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রচারও চালাতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ব্যাংকগুলো সুনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ও আর্থিক শিক্ষা প্রসারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং খোলা হবে, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বিরতিতে (মাসে ন্যূনতম একবার) শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় সংগ্রহের জন্য ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে হবে।