ঈদ মৌসুমে কক্সবাজারে শতকোটি টাকার পর্যটন ব্যবসা

ঈদ মৌসুমে কক্সবাজারে শতকোটি টাকার পর্যটন ব্যবসা

অর্থনীতি ডেক্স : পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। ফলে ঈদুল আজহার ছুটিতে এবার হোটেল-মোটেলগুলোর ব্যবসা জমজমাট। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ ঘিরে আরো কয়েকদিন পর্যটকের আগমন অব্যাহত থাকবে। এতে কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে শতকোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে।

হোটেল মালিকদের ভাষ্যমতে, শুধু গতকাল শুক্রবারেই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সমবেত হয়েছে ১ লাখের বেশি পর্যটক। পর্যটকের আনাগোনা থাকবে কমপক্ষে আরো এক সপ্তাহ। মূলত ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এখানকার প্রায় ৪০০ হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ ও ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁয় রমরমা ব্যবসা চলছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, এখানে ছোট-বড় ৩৯১টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ আছে। এতে প্রতিদিন ৭৭ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো হোটেলেই এখন কক্ষ খালি নেই।

প্রতিটি হোটেল-মোটেল ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে ধরলে দৈনিক ২ কোটি টাকা এবং এক লাখের বেশি পর্যটকের খাবারের বিপরীতে ৫০০ টাকা করে ৫ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া বিমান, সড়ক, নৌপথে যোগাযোগ, সৈকতে ছাতা ভাড়া, শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি পণ্য, আলোকচিত্র, কুটির শিল্পসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় দৈনিক লেনদেন হচ্ছে আরো অন্তত ৮ কোটি টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী সাতদিনে লেনদেন দাঁড়ায় ১০৫ কোটি টাকায়।

সমুদ্রসৈকত ছাড়াও ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামু বৌদ্ধ পল্লী, টেকনাফ নেচার পার্ক, দরিয়ানগর পর্যটন পল্লী, হিমছড়ির পাহাড়ি ঝরনাসহ দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করছে পর্যটকরা।