আসামের ৭ জেলায় প্রবল বন্যা, ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

আসামের ৭ জেলায় প্রবল বন্যা, ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

প্রবল বর্ষণজনিত কারণে ভারতের আসামের৭টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসমের ধেমাজি, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় প্রভৃতি জেলার সমস্ত নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খবর রেডিও তেহরান।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কোকরাঝাড় জেলায়। সেখানকার ৮৭টি গ্রাম পানির তলায় ডুবে রয়েছে। ওই এলাকার মানুষজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে ৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বন্যাকবলিত জেলায়। শুধুমাত্র কোকরাঝাড়েই ৩৪টি শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণশিবিরগুলোতে এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় অনেক সড়ক এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে প্রকাশ, বন্যাজনিত কারণে প্রায় ১২ হাজার একরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের মহাপরিচালক লক্ষণ সিং রাঠোর জানিয়েছেন, হিমালয়ের পাদদেশ এলাকায় ভারি বর্ষা হতে পারে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ডাকা উচ্চস্তরীয় বৈঠকের পরে তিনি বলেছেন, বর্ষার জন্য কোসী, গন্ডক, ঘাগরাসহ গঙ্গা এবং ব্রম্মপুত্রের উপনদীতে পানিরস্তর বৃদ্ধি পাবে। এরফলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার প্রবল বর্ষণে বদরপুর-জোয়াই এবং শিলচর-হাফলং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অসমের করিমগঞ্জ শহর পানিমগ্ন হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। এই এলাকার বিভিন্ন সড়ক এমনকি স্কুলের মধ্যেও পানি ঢুকে পড়ায় পথচলতি সাধারণ মানুষ থকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন।