আইএসের হামলার প্রতিশোধ নিতে দুই পুলিশকে হত্যা

আইএসের হামলার প্রতিশোধ নিতে দুই পুলিশকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আইএসের একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রতিশোধ নিতেই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে কুর্দি জঙ্গিরা। বুধবার এ দাবি করে কুর্দি জঙ্গিরা।

তাদের দাবি আইএসের আত্মঘাতী হামলায় সিরীয় সীমান্তের কাছে কুর্দিদের ৩২ সক্রিয় কর্মী নিহত হয়। সিলেনপিনার শহরে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) জঙ্গিদের এ হামলার ফলে সিরিয়ায় কুর্দি ও আইএস এর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষের বিস্তার চলছে তা তুরস্কতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সুরুক শহরে সোমবারের ভয়াবহ হামলার পর আঙ্কারায় প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু তুরস্কের সিরীয় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের আহ্বান করেছেন।

কর্মকর্তারা জানান, ২০ বছর বয়সী এক তুর্কি ছাত্র ওই আত্মঘাতী হামলা চালায়। বেশ কয়েক মাস ধরে আইএস জিহাদিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।

এই হামলার ফলে আইএস তাদের থাবা বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
খবর এএফপি’র।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর সিলেনপিনারের কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বাড়িতেই তাদের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

কিন্তু পিকেকের সামরিক শাখা জানায়, হামলাটি ছিল প্রতিশোধমূলক।
পিকেকে তুরস্ক ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের কাছে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (এইচপিজি) তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আইএসকে সহায়তা করছিল।

সুরুকে সোমবারের হামলার ঘটনায় যারা নিহত হয় তারা সক্রিয় কর্মী ছিল। এদের অনেকেই ছাত্র ছিল। এদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ জনের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। তারা সিরিয়ার কোবানে শহরের জন্য একটি সাহায্য মিশন প্রস্তুত করতে সেখানে যায়।