উড়ছে লাল নিশান, চলছে যানবাহন

উড়ছে লাল নিশান, চলছে যানবাহন

স্টাফ রিপোর্টার :  টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরশহরের বাখুরিয়া বাড়ী সড়কটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় সড়কটি বর্তমানে চলা চলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিনই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী। দূর্ঘটনা প্রতিরোধে গ্রামবাসি ওই স্থানে একটি লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দিয়েছে এবং সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। মআজ সোমবার সকালে সরজমিনে ওই এলাকায় গেলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, গোপালপুর পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ড এবং পৌর ভবন হতে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবসতি গ্রাম বাখুরিয়া বাড়ি।

এলাকায় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাফিজিয়া ও একটি নূরানী মাদরাসা, ৩টি জামে মসজিদসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওই গ্রামে। এছাড়াওপাশ্ববর্তী হাজরা বাড়ী, মধুপুরভট্র, শিকদার আটা, পাকুয়া, রামজীবনপুর, ভূটিয়া, বসুবাড়ী, ডুবাইলসহ বেশ কয়েক গ্রামের লোকজন ঢাকা ও মধুপুর যাতায়াতের জন্য বাখুরিয়া বাড়ির ওই সংযোগ সড়কটির উপর নির্ভরশীল। অর্ধযুগ আগে সড়কটি সংস্কার করা হলেও এরপর হতে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি আর সংস্কার করেনি। ফলে সড়কের বাখুরিয়া বাড়ী উত্তরপাড়া জামে মসজিস সংলগ্ন রাস্তাটি গত এক বছরে ধসে পাশের একটি ডোবায় বিলিন হয়ে গেছে। ওই স্থানে স্থাপিত ৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারসহ একটি বৈদ্যুতিক খুটিও ধসে পড়ার পথে। এলাকাবাসি দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ওই স্থানে লাল নিশান লাগিয়ে দিয়েছে। তারপরও দূর্ঘটনায় এপযর্ন্ত আহত হয়েছে র্ধশতাধিক। আজ সোমবার সকালে ওই স্থানে ধান পরিবহনের সময় ভ্যান উল্টে আহত হন মধুপুরভট্র গ্রামের ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম (৩২)। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করে। আহত সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরকর্তৃপক্ষকে মবারবার জানানোর পর, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম রুবেল সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও প্রায় ১৫দিন অতিবাহিত হলেও তিনি জনগনের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। এতে আমরা ভ্যান চালকসহ অনেকেই প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছি।

এলাকার বাসিন্দা ও গোপালপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, বাখুরিয়া বাড়ি সড়কটি ঢাকা-মধুপুর সড়কের সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সড়কটি বর্তমানে ধসে পড়ায় যানচলাচল প্রায় বন্ধের উপক্রম। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন (উষা) এর নির্বাহী পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, তিনি
প্রায় ৭বছর যাবৎ প্রতিবন্ধীদেরন উন্নয়নের জন্য ওই গ্রামে কাজ করে যাচ্ছেন। সড়কটি ধসে পড়ার কারণে জরুরী প্রয়োজনে প্রতিবন্ধীরা তার অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহন করতে পাচ্ছেন না। এছাড়াও স্কুল কলেজের
ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ও মুসুল্লিরা নামাজে যেতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

গোপালপুর পৌর সভার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুতুব উদ্দিন সরকার কিতাব আলী জানান, সড়কটি দু’একদিনের মধ্যে সংস্কার করা হবে।