ওয়েবসাইট উন্নয়নের কাজ চলিতেছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত...
পুলিশ সেজে প্রতারণা করাই তার কাজ

পুলিশ সেজে প্রতারণা করাই তার কাজ

পুলিশ সেজে প্রতারণা করাই তার কাজ

বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সবার কাছে তিনি পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে নিয়মিত ফেসবুকে ছবিও দেন! কখনও বন্দুক হাতে, কখনও ওয়াকিটকি হাতেও ছবি তুলেছেন পুলিশ প্রমাণে! আবার পুলিশের কাছে তিনি পরিচিত দুদক কর্মচারী হিসেবে! কেউবা আবার চেনেন এনএসআই কর্মচারী হিসেবেও! কিন্তু আসলে তিনি একজন প্রতারক। মানুষের সাথে প্রতারণা করতেই তার এই বহুরূপী সাজ সাজেন।

শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। এই প্রতারকের নাম তৌহিদ হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার গাইদঘাট গ্রামের মিল্লান হোসেনের  ছেলে।

পুলিশ জানায়, তৌহিদ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এই পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এজন্য কখনও ইউনিফর্ম পড়ে, কখনও বন্দুক হাতে, কখনও ওয়াকিটকি হাতেও ছবি তুলেছেন। 

শুক্রবার দুপুরে থানার সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় তাকে আটক করা হয়। 

পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, এক মহিলাকে চুয়াডাঙ্গা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেন তিনি। সেই মেয়েকে বিশ্বাস করানোর জন্যই থানার সামনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এক নারী প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তৌহিদ একজন প্রতারক। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ হিসেবেই পরিচিত। আবার পুলিশের কাছে পরিচিত দুদক কিংবা এনএসআই কর্মচারী হিসেবে। এগুলো প্রমাণে তিনি আবার সেসব বাহিনীর পোশাক পড়ে ছবি তুলে ফেসবুকেও শেয়ার করেন। এরকম বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সেজে মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার মূল কাজ। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। 

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/181307/পুলিশ-সেজে-প্রতারণা-করাই-তার-কাজ