-->
ওয়েবসাইট উন্নয়নের কাজ চলিতেছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত...
কাজিরহাট-আরিচা রুটে পাঁচ কিলোমিটার যানজট

কাজিরহাট-আরিচা রুটে পাঁচ কিলোমিটার যানজট

কাজিরহাট-আরিচা রুটে পাঁচ কিলোমিটার যানজট

পাবনার-কাজিরহাট আরিচা রুটে শনিবার সকালেও দেখা যায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট।

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার-কাজিরহাট আরিচা রুটে শনিবার সকালেও দেখা যায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। পর্যাপ্ত ফেরি না থাকায় যানবাহন শ্রমিকদের পারাপারে জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অন্যদিকে দূরপাল্লার যাত্রীদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই।

কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে দুটি ফেরি এখান থেকে অন্য ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে শাহ মখদুম, গোলাম মওলা, ফেরি কুমিল্লা, ফেরি কপোতি ঘাটে অবস্থান করছে। এগুলোর মধ্যে কুমিল্লা ফেরিতে আবার কোনো ট্রাক বা বড় যানবাহন পার করা যায় না। এসব মিলিয়ে ঘাটে যানজটের  সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে কপোতি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেল নাগাদ সেটি আমরা ঘাটে পেতে পারি। দুটি ফেরি দিয়ে এখন যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমাদের এখানে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি থাকলেও ফেরিগুলো অনেক পুরনো। এগুলো দিয়ে পারাপার করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

যাত্রী ও যানবাহন চালকদের অভিযোগ, এই নৌপথে কমপক্ষে ৮টি ফেরির প্রয়োজন। সম্প্রতি ৫টি ফেরি দিয়েছিল ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ কারণে গত দুই সপ্তাহ  ঘাটে কোনো যানজট ছিল না। আমরা অনায়াসে পার হতে পেরেছি। কিন্তু ৩/৪ দিন ধরে ঘাটে ব্যাপক চাপ থাকার পরও বড় ফেরি দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

কুষ্টিয়ার মিরপুর আসা এক পাথর ব্যবসায়ীর জানান, ৪ দিন ধরে ফেরির জন্য ঘাটে অপেক্ষা করছি। সিরিয়াল পাওয়া তো দূরের কথা। আরও চার-পাঁচদিন ঘাটে থাকতে হতে পারে। একটি ফেরিতে মাত্র ৩ থেকে ৪টি করে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

লালমনিরহাটে থেকে আসা এক ট্রাকচালক জানান, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ঘাটে অবস্থান করছেন কিন্তু ফেরির দেখা নেই। এখানে নেই কোনো আবাসিক হোটেল ও বাথরুম। নিরাপত্তার জন্য একটি লাইটও লাগানো নেই। সব সময় চুরি-ডাকাতির ভয় থাকতে হয়। ডাকাতের ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারেন না বলে জানান। আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলম জানান, পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের নিরাপত্তায় সারারাত পুলিশি টহল অব্যাহত থাকে। তাই ডাকাতি বা অর্থ চুরি হওয়ার কোনো সুযোগ।

বিআইডব্লিউটিসির কাজিরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, মাত্র দুটি -তিনটি বা চারটি ফেরি দিয়ে এই নৌপথ পরিচালনা করা যাচ্ছে না। যেভাবে কাজিরহাট ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ছে, তাতে প্রতিদিন ফেরিগুলোর ৩০ থেকে ৩৫টি ট্রিপ দেওয়া প্রয়োজন। অথচ তিনটি ফেরি দিয়ে ১০ থেকে ১২টি ট্রিপ দেওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/179645/কাজিরহাট-আরিচা-রুটে-পাঁচ-কিলোমিটার-যানজট