![‘ফের যদি বৃষ্টির পানি আসে’ ‘ফের যদি বৃষ্টির পানি আসে’](https://www.bd-journal.com/cache-images/news_photos/2021/10/31/resize-600x400x1x0image-179752-1635652273bdjournal.jpg)
‘ফের যদি বৃষ্টির পানি আসে’
![](https://www.bd-journal.com/cache-images/news_photos/2021/10/31/resize-600x400x1x0image-179752-1635652273bdjournal.jpg)
‘ফের যদি বৃষ্টির পানি আসে’
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতের বীজআলু পঁচে গেছে। খেত থেকে সেই বীজআলু তুলে আবার নতুন করে বপন করছেন কৃষক।
আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল থেকেকয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতের বীজআলু পঁচে গেছে। খেত থেকে সেই বীজআলু তুলে আবার নতুন করে বপন করছেন কৃষক।
‘হঠাৎ মেঘের পানিত সব আলু পঁচে গেইছে, ফের জমিত হালচাষ করে হেনে আলু লাগানো শুরু করিছু। দেখু এইবার কী করে ওপরওয়ালা। ভয় নাগেছে, যদি ফের পানি আসে।’ রোববার সকালে কথাগুলো বলছিলেন আলু চাষি মুন্জর হোসেন।
সফিরুলের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে। দুই সপ্তাহ আগের বৃষ্টিতে তার দেড় বিঘা জমির আলুর খেত পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে তার। চারজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে পুনরায় আলু রোপণ করছেন তিনি।
মুন্জর হোসেনের মতো এই ইউনিয়নের আলু চাষি লুতফর রহমান, ইসলামউদ্দীন, আবুল কালাম , সরিফুল ইসলাম প্রমুখ আগাম জাতের আলু রোপণ করেছিল। কিন্তু পানিতে সব পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা পুনরায় আলু রোপণ করছেন।
![](https://www.bd-journal.com/assets/gallery/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%95/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%81.jpeg)
ওই ইউনিয়নের আরেক আলু চাষি আব্দুল কাদের জানান, বৃষ্টির পর পানিতে ডুবে যাওয়া ১ বিঘা জমির আলুখেত থেকে আলু তোলে রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। পুরোটা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সূত্রমতে, ২০২০ সালের আলু মৌসুমে উপজেলায় ৩৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। লক্ষমাত্রা ছিল ৩৭৪৫ হেক্টর। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৯৯ হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন। সে বছর বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষক-ব্যবসায়ীরা আলুতে ব্যাপক লাভ করেন। আর এতেই কৃষকেরা আলু চাষে ঝুঁকে পড়েন। চলতি বছরে কৃষকেরা ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। ২০২১/২২ অর্থবছরে আবাদের লক্ষমাত্রা ৩৯৫০ হেক্টর মে.টন।
![](https://www.bd-journal.com/assets/gallery/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%95/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%81%20%E0%A7%A9.jpeg)
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসময়ে বৃষ্টিতে আগাম জাতের ৫০ হেক্টর জমির আলুখেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, বৃষ্টিতে আমন ধান ছাড়াও শীতকালীন আগাম সবজি এবং আগাম আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা আগাম আলু লাগিয়েছেন, তাদের রোপণ করা আলুবীজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। ‘আশা করছি ১৫ দিনের মধ্যেই চাষিরা পুনরায় আলু রোপণ কাজ শেষ করতে পারবেন। আমরা সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/179752/ফের-যদি-বৃষ্টির-পানি-আসে