ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা ১০ লাখ টাকা নিতো

ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা ১০ লাখ টাকা নিতো

ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা ১০ লাখ টাকা নিতো

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের অভিভাবকদের অসহায়ত্ব ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে টাকার বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় একটি চক্র। প্রলোভনে রাজী হলে চাকরি প্রত্যাশীর জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন। তারপর চাকরি প্রার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী অভিভাবকদের বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরির প্রস্তাব দেন। প্রার্থীর আর্থিক সক্ষমতা ও পদ অনুযায়ী টাকার পরিমান নির্ধারিত হয়। এভাবে প্রার্থী প্রতি থেকে ৫-১০ লাখ টাকা নেন চক্রটি। এনএসআই ও র‍্যাব-৩ এর অভিযানে এই প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে ।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে  তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন-আব্দুল মান্নান (৫০) এবং কাজী সোলাইমান হোসেন জনি (৩৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র এবং পরীক্ষার প্রবেশ পত্র জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার র‍্যাব -৩ এর স্টাফ অফিসার (অপ্স ও ইন্ট শাখা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।  তারা সরকারি চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানায়, চক্রের সদস্যরা চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের অভিভাবকদের অসহায়ত্ব ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে থাকে। আটক আব্দুল মান্নান চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের অভিভাবকদের টাকার বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখান। প্রলোভনে রাজী হলে চাকরি প্রত্যাশীর জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন। 

পরবর্তে  চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী অভিভাবকদের বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরির প্রস্তাব দেন। চাকরি প্রার্থীর আর্থিক সক্ষমতা ও পদ অনুযায়ী টাকার পরিমান নির্ধারিত হয়। এভাবে একটি সরকারি পদে চাকরি দেয়ার জন্য তারা প্রার্থী প্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী বলেন, অভিভাবকদের সঙ্গে প্রাথমিক বোঝাপড়ার পর চুক্তি অনুযায়ী আব্দুল মান্নান প্রথমে অর্ধেক টাকা নিয়ে নেন এবং বাকী টাকা নিয়োগপত্র পাওয়ার পর দিতে হবে বলে চুক্তি করেন। এরপর আব্দুল মান্নান চাকরি প্রার্থীকে অন্য আটক কাজী সোলাইমান হোসেন জনির কাছে নিয়ে যান এবং জনিকে একজন উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর প্রার্থীর কাছে ডাকযোগে ভুয়া নিয়োগপত্র পাঠাতেন তারা।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থীকে নির্ধারিত তারিখে টাকাসহ চাকরিতে যোগদান করার জন্য বলা হয়। প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারকচক্র কৌশলে পালিয়ে যায় এবং প্রার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বীণা রানী দাস বলেন, আটক চক্রটি অভিযোগকারী ভুক্তভোগীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া আটক প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা। 

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/178654/ভুয়া-চাকরির-প্রলোভন-দেখিয়ে-তারা-১০-লাখ-টাকা-নিতো