২২ বছর পর পরিবারকে ফিরে পেলেন তানজিমা

২২ বছর পর পরিবারকে ফিরে পেলেন তানজিমা

২২ বছর পর পরিবারকে ফিরে পেলেন তানজিমা

অনলাইন ডেস্ক

মাত্র ৬ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়ার ২২ বছর পর মা-বাবা ও স্বজনদের কাছে ফিরেছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের মগটুলা ইউনিয়নের তরফফাচাইল গ্রামে মেয়ে তানজিমা আক্তার। ১৯৯৯ সালে নানির সাথে মামার বাড়ি রাজধানীর মহাখালীর কড়াইলে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। অনেক চেষ্টা করেও সেসময় তার খোঁজ পায়নি পরিবার। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে ফিরে পেয়ে পরিবারটির মধ্যে এখন খুশির জোয়ার বইছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের নূরুল হুদা ও জোসনা বেগম দম্পতির মেয়ে তানজিমা তার নিজ গ্রামে ফিরেন ।

তানজিমার বাবা নূরুল হুদা জানান, গত ৩ অক্টোবর বিকেলে জনপ্রিয় আরজে কিবরিয়ার রেডিও স্টেশন ‘আপন ঠিকানায়’ তানজিমার হারিয়ে যাওয়ার গল্প প্রচার হয়। সেখানে তানজিমার হারিয়ে যাবার গল্প শুনে আরজে কিবরিয়ার সঙ্গে ৫ অক্টোবর যোগাযোগ করে মেয়ের সাথে দেখা করি। 

মেয়েকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত নূরুল হুদা জানান, ১৯৯৯ সালের ৮ মার্চ নানি জাহানারা খাতুনের সঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইলে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় তার মেয়ে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাওয়া যায়নি। ২২ বছর পর মেয়েকে ফিরে পাবেন, আশা ছিল না।

নূরুল হুদা আরও জানান, ২২ বছর পর মেয়েকে খুঁজে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। তানজিমাকে পেয়ে তার মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। আরজে কিবরিয়ার প্রতি আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং দোয়া করি সে যেন আরও অনেক মানুষের উপকার করতে পারে। আল্লাহ যেন তাকে ভাল রাখেন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে তিন সন্তান ও স্বামী নিয়ে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় ভাড়া বাসায় তানজিমার সংসার। হারিয়ে যাবার পর রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার গোকরান মিয়া নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে নিজের মেয়ের মত বড় হয়েছেন তানজিমা। মারা যাবার কয়েক বছর আগে তার বিয়ে দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে তানজিমা আক্তার বলেন, কোনো দিন ভাবতেও পারিনি, বাবা-মাকে আবার ফিরে পাবো। আমার একটাই চাওয়া ছিল জীবনে মা-বাবাকে যেন একবার হলেও দেখতে পারি। আমার সে আশা পূরণ করেছে আপন ঠিকানা। আমি দোয়া করি ‘আপন ঠিকানা’ যেন আরও অনেক মানুষকে আপন ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/177212/২২-বছর-পর-পরিবারকে-ফিরে-পেলেন-তানজিমা