ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা

ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা

ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা

চট্টগ্রামে ব্যাংক এশিয়ার দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়ার দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- ১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ মামলাটি দায়ের করেন। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- ১ এর উপ-পরিচালক লুতফুল কবির চন্দন।   মামলার আসামি ব্যাংক এশিয়ার দুই কর্মকর্তা হলেন ফার্স্ট অ্যাসিস্টেন্ট ভিপি ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র অফিসার এহতেশাম উদ্দিন জাহান আনসারী। দুজনেই চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়ক শাখায় কর্মরত। 

অন্য তিন আসামি ব্যবসায়ী। তারা হলেন, পিঅ্যান্ডআর ট্রেডার্সের মালিক ইসলাহ উদ্দিন জাহান আনসারী, সেভেন সীজ বিডির মালিক তারেকুজ্জামান এবং রিটজ মেরিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. এমদাদুল হাসান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ জুন থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়ার দুই কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ী ১২২টি লেনদেনের মাধ্যমে এক্সপোর্ট প্রসিডিউর, রেমিট্যান্স, ফরেন ব্যাংক গ্যারান্টি কনফার্মেশন চার্জ, অব্যবহৃত ফরেন ব্যাংক গ্যারান্টি ক্লেইম সেটেলমেন্ট, এলসি পেমেন্টের অতিরিক্ত অর্থ ও এফসি ডরম্যান্ট একাউন্টের ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকা প্রকৃত বেনেফিশিয়ারির হিসাবে হস্তান্তর না করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের তিনটি হিসেবে স্থানান্তর করেছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করায় তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪(২) এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- ১ এর উপ-পরিচালক লুতফুল কবির চন্দন। 

তিনি বলেন, ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা ব্যাংকের প্রকৃত বেনিফিশিয়ারির অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠাননি। 

২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১২২টি লেনদেনের মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/169406/ব্যাংক-কর্মকর্তাসহ-পাঁচ-জনের-বিরুদ্ধে-মানি-লন্ডারিংয়ের-মামলা