এশিয়া লাউঞ্জ: রেস্তোরাঁর চেয়েও বেশি কিছু

এশিয়া লাউঞ্জ: রেস্তোরাঁর চেয়েও বেশি কিছু

এশিয়া লাউঞ্জ: রেস্তোরাঁর চেয়েও বেশি কিছু

এটি অন্যান্য বেশিরভাগ হিপ ক্যাফে কিংবা ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁর মত শুধুমাত্র লাভ কুড়ানোর একটি ব্যবসা নয়, বরং এটি তুরস্কের মতো অসাধারণ একটি দেশে উপমহাদেশের আন্তরিকতা, উদারতা এবং সৌন্দর্যের পরিচয় তুলে ধরার জন্য দীর্ঘ দিনের লালিত একটি স্বপ্ন।

রাকিব বিন ওয়ালী

ইস্তাম্বুল দুনিয়ার একমাত্র শহর যেটা দুটি সাগরের মাঝখানে এবং দুইটি মহাদেশে অবস্থিত। এই শহরেই এসে পশ্চিম সভ্যতা, সংস্কৃতি আর ইতিহাস এসে মিলিত হয়েছে প্রাচ্যের সাথে। নেপোলিয়ন তো বলেই দিয়েছিলেন, ‘যদি পুরো পৃথিবী একটি দেশ হত, তবে তার রাজধানী হত ইস্তানবুল।’

প্রকৃতি আর ইতিহাস দ্বারা সমৃদ্ধ এই শহরে প্রথমবারের মতো দেশি বিদেশি সকলেই দক্ষিণ এশিয়ার (পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ) খাঁটি স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ইস্তানবুলের একদম প্রাণকেন্দ্র ফাতিহ্তে অবস্থিত - ইন্তানবুল বিজয়ী সুলতান ফাতিহ দ্বারা নির্মিত ঐতিহাসিক ফাতিহ মসজিদের একেবারে পাশেই গত ৯ মার্চ, (মঙ্গলবার) প্রায় অর্ধশত মানুষের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয়ে গেল তুরস্কের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের বাংলাদেশি ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট ‘এশিয়া লাউঞ্জ’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশি বিদেশি ছাত্র, ব্যবসায়ী, ভোজনরসিক, পর্যটক, স্থানীয় তুরকিশ জনগণ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তুরস্কের আন্তর্জাতিক ছাত্র ফেডারেশন (UDEF) এর প্রেসিডেন্ট জনাব ড. মেহমেত আলী বোলাত।

এশিয়া লাউঞ্জে থাকছে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সব ডিশ (যেমন: বিরিয়ানি, কারী, কাবাব) এবং অনন্য সুস্বাদু পানীয় (যেমন: লাসি, বোরহানি, মালাই চা ইত্যাদি)।

ক্যাফেতে থাকবে ট্র্যাডিশনাল চা, কফি থেকে শুরু করে তুরকিশ কফি, এস্প্রেসো, আমেরিকানো, ব্ল্যাক কফি, লাত্তে, স্পেশাল ক্রিম কফি, ইত্যাদি সকল পানীয়। সেই সাথে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য, অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, শিল্প ও অমায়িক আতিথেয়তার মধ্য দিয়ে পাওয়া যাবে বাংগালীপনার একটি পরিপূর্ণ আমেজ।

এশিয়া লাউঞ্জের সিইও এবং ম্যানেজমেন্টের ভাষ্যমতে এটি অন্যান্য বেশিরভাগ হিপ ক্যাফে কিংবা ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁর মত শুধুমাত্র লাভ কুড়ানোর একটি ব্যবসা নয়, বরং এটি তুরস্কের মতো অসাধারণ একটি দেশে উপমহাদেশের আন্তরিকতা, উদারতা এবং সৌন্দর্যের পরিচয় তুলে ধরার জন্য দীর্ঘ দিনের লালিত একটি স্বপ্ন। এটি সাধারণ একটি ক্যাফে বা রেস্তোরাঁর চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি কালচারাল সেন্টার, একটি মেল্টিং পট, বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি সেন্টার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দোয়া আর মিষ্টিমুখের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এশিয়া লাউঞ্জ। 

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/emigration/152695/এশিয়া-লাউঞ্জ-রেস্তোরাঁর-চেয়েও-বেশি-কিছু