সখীপুরে খাজনা নেওয়ার দাবি! ২২ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা

সখীপুরে খাজনা নেওয়ার দাবি! ২২ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা

সখীপুরে খাজনা নেওয়ার দাবি! ২২ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা
জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : 

সখীপুরে ২১ দিনের মধ্যে আরএস খতিয়ানের খাজনা নেওয়া না হলে ২২ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক বন্ধ করে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন ‘সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’। গত রোববার বেলা ১১টায় ‘সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়েজিত এক সভায় তারা এ ঘোষণা দেন। উপজেলার ১৪ মৌজার আরএস খতিয়ানের খাজনা নেওয়ার দাবিতে এ কর্মসূচি দেন। এ সময় উপজেলার ১৪ মৌজার কমপক্ষে হাজার খানেক ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলকারীরা জানান, এর আগে ঢাকায় সখীপুরের ভূমি মালিকদের এক গণঅনশন কর্মসূচিতে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আন্দোলন কমিটির সভাপতি জুলফিকার হায়দার কামালের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম ও গণি, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম প্রমুখ।

জানা যায়, জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পর ওইসব জমি ১৯৫৬-৬২ সালে ভূমি মালিকদের নামে এসএ (স্টেট একুইজেশন) ও ১৯৭৬-১৯৮৫ সালে আরএস (রিভিশনাল সার্ভে) রেকর্ড লিপিত হয়। বিধি অনুযায়ী আরএস রেকর্ড লিপিত হওয়ার পর ভূমি মালিকরা তাদের জমির নকশা ও পরচা হাতে পায়। নিয়মানুযায়ী গেজেটভূক্ত হওয়ার পর খাজনা আদায়ের জন্য প্রথমে সম্পন্ন হওয়া ওই ১৪টি মৌজা হতে আটটি মৌজার ভলিউম সখীপুর ভূমি অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় স্থানীয় বন বিভাগ বিধিবর্হিভূতভাবে ওই রেকর্ডের ওপর আপত্তি দিলে খাজনা আদায় বন্ধ করে আরএস রেকর্ডের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। ফলে ওই ১৪টি মৌজায় একদিকে এসএ রেকর্ডের খাজনা ও নামজারি বন্ধ রেখেছেন। অন্যদিকে নতুন আরএস রেকর্ডের কার্যক্রমও চালু করছে না স্থানীয় ভূমি কর্তৃপক্ষ। ফলে ভূমি মালিকরা তাদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব জমি ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হস্তান্তর হচ্ছে।

সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন ‘এই মাটি আমাদের চার পুরুষের কবরের ঠিকানা। এসএ বা আরএস রেকর্ডও আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে। তবুও বনভিাগের বিধিবহির্ভূত আপত্তির কারণে দলিল রেজিস্ট্রিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।’

জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফা সিদ্দিকা বলেন, সরেজমিন প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।’