প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২


জাতীয়

স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন 

প্রকাশিত: ২০২৫-০৯-০৭ ২৩:৫২:০০

News Image

পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব মুহাম্মদ ওয়াসিফ

বিশেষ প্রতিনিধি:
গতকাল শনিবার পুরান ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত উপমহাদেশের মুসলমানদের অবিসংবাদিত নেতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ কর্তৃক ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার জনাব ইমরান হায়দার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করেছেন। এতিমখানা প্রশাসনের বিশেষ আমন্ত্রণে সকাল ১১:৩০টার দিকে হাইকমিশনার মহোদয় সস্ত্রীক এতিমখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছালে এতিমখানার প্রশাসক ও সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা তাকে স্বাগত জানান। 

 

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব মুহাম্মদ ওয়াসিফ, প্রেস কাউন্সিলর জনাব ফসিউল্লাহসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সেসময় তারা এতিমখানা প্রাঙ্গণের মাদ্রাসা, আধুনিক ল্যাবরেটরি মসজিদসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং এতিম শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সেসময় হাইকমিশনার মহোদয় বাংলাদেশের তথা গোটা  উপমহাদেশের মুসলমানদের কল্যাণের জন্য স্যার সলিমুল্লাহর ঐতিহাসিক অবদানগুলোকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন যে, 'নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'র দূরদর্শী  নেতৃত্ব শুধু বর্তমান বাংলাদেশের ভূখণ্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তার নেতৃত্ব ছিল গোটা উপমহাদেশে বিস্তৃত।'

 

পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও সলিমুল্লাহ এতিমখানাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'র রুহের মাগফেরাত কামনা করে এসকল প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। পরবর্তীতে হাইকমিশনার মহোদয় এতিমদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও তাদের মাঝে পড়ালেখা ও ক্রীড়াসামগ্রীসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন। অন্যদিকে হাইকমিশনার মহোদয়ের স্ত্রী মহোদয়াও এতিম মেয়ে শিশুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন।   

 

পরিশেষে, তিনি নবাব সলিমুল্লাহ'র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার হাতেগড়া এই মানবিক প্রতিষ্ঠানের শিশুদের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এতিমখানা প্রশাসনেরও দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেন। দুপুর ০২.০০ টার দিকে এতিমখানা মসজিদে যোহরের নামায শেষে তিনি এতিমখানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।