বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না মারা গেল মেয়েও
বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না মারা গেল মেয়েও
বাংলাদেশ
নেত্রকোনা প্রতিনিধিদীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন চন্দন খান (৫৫)। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। বাবার মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান মেয়ে মিতু সুলতানাও (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা নয়াপাড়া গ্রামে।
চন্দন খান সাহতা নয়োড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে এবং মিতু সুলতানা চন্দন খানের মেয়ে। মিতু নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
চন্দন খানের ভাতিজা আকিকুল ইসলাম খান জানান, তার চাচা চন্দন খান দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুতে মিতু সুলতানার কান্না যেন কিছুতেই থামছিল না। কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে মিতু বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সাহতা গ্রামের বাসিন্দা সোহেল খান বলেন, একই দিন বাবা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি সত্যিই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় আমরা এলাকাবাসীও শোকাহত। এ শোক প্রকাশ করার মতো কোনো ভাষা আমাদের নেই।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/178787/বাবার-মৃত্যুর-শোক-সইতে-না-মারা-গেল-মেয়েও