ঢিলেঢালা লকডাউন মৌলভীবাজারে
ঢিলেঢালা লকডাউন মৌলভীবাজারে
প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিপ্রবাসী অধ্যুষিত জেলা মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ১১২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪১ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৪৬ শতাংশ। জেলায় কিছু দোকানপাট বন্ধ রাখা ছাড়া লকডাউনের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
জেলা প্রশাসন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে একযোগে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে আইন অমান্য করে শপিংমল, মার্কেট খোলা রাখা, গণপরিবহন ও সিএনজি চলাচল, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাহিরে অবস্থান করায় ওই দিন ১৭২ জনকে জরিমানা করে।
শহরের কুসুমভাগ, বাসস্ট্যান্ড, শমসেরনগর রোড, চাঁদনীঘাট, চৌমুহনা, কোটরোড ও বিভিন্ন শাখা সড়ক ঘুরে দেখা যায় সড়কগুলো কার্যত ব্যাটারিচালিত রিকশা, টমটম, সিএনজি, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলর দখলে।
অধিকাংশ দোকান ছিলো খোলা। অন্যান্য দিনের মতোই লোকজনকে বাহিরে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও উদাসীনতা ছিল দৃশ্যমান।
কয়েকজন অটোরিকশাচালক চালক জানান, লকডাউন চলার কথা তারা শুনেছেন। কিন্তু বাজারে আগের মতো মানুষ আসছে। তাই তারাও অটোরিকশা চালাচ্ছেন।
লকডাউন দিলে দেয়ার মতো দিতে হবে বলে মন্তব্য করে কয়েকজন পথচারী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কথা ভাবতে হবে। ব্যাংক, অফিস, আদালত চালু রেখে লকডাউনের কোনো মানে হয় না।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/165122/ঢিলেঢালা-লকডাউন-মৌলভীবাজারে