পাক হানাদার বাহিনী চট্টগ্রামে গণহত্যা চালায়

পাক হানাদার বাহিনী চট্টগ্রামে গণহত্যা চালায়

পাক হানাদার বাহিনী চট্টগ্রামে গণহত্যা চালায়

কল্যাণপুর সেতুতে পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালিরা তল্লাশির নামে অনেক বাঙালিকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

জার্নাল ডেস্ক

১৯৭১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের হালিশহরে নাথপাড়ায় পাক হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় বিহারিরা পরিকল্পিত গণহত্যা চালায়। তারা অল্প সময়ের মধ্যে কুড়াল, কিরিচ ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ৪০ জন ইপিআরসহ ৭৯ জনকে হত্যা করে।

এদিন দিনের বেলা কারফিউ শিথিল করায় বহু মানুষ ঢাকা ছাড়তে থাকে। কল্যাণপুর সেতুতে পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালিরা তল্লাশির নামে অনেক বাঙালিকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

বিকেলে কুমিল্লা সেনানিবাসে চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭০ থেকে ৮০ জন বাঙালি সেনা সদস্যের ওপর হামলা করে পাকিস্তানি সেনারা। বাঙালি সেনারা ৬ ঘণ্টা যুদ্ধ করে রেজিমেন্ট ইউনিট দখল করে।

কুষ্টিয়ায় এদিন বিকালে কৃষক-পুলিশ-ইপিআরের সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা দল পাকিস্তানি বাহিনীর ডেল্টা কোম্পানির সৈন্যদের পাঁচটি অবস্থানে হামলা করে। অগ্রসরমান জনসমুদ্র থেকে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি এবং অব্যাহত গুলিতে ডেল্টা কোম্পানির প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।

এদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি পার্লামেন্টে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতি তার নিজের, ভারতীয় জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে একাত্মতা ও সংহতি ঘোষণা করেন।

পাকিস্তানিদের নৃশংসতা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক শরণার্থী বিভিন্ন পথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এদিন মেহেরপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন।

আগের দিন কালুরঘাটে পাকিস্তান বাহিনীর বিমান হামলার পর এদিন চট্টগ্রাম থেকে এক কিলোওয়াট সম্পন্ন ট্রান্সমিটার প্রথমে পটিয়া নেওয়া হয়। পরে সীমান্ত পার করে ভারতের আগরতলায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচার চলতে থাকে

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/154932/পাক-হানাদার-বাহিনী-চট্টগ্রামে-গণহত্যা-চালায়