অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেলেন বাংলাদেশি মডেল

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেলেন বাংলাদেশি মডেল

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেলেন বাংলাদেশি মডেল

বিনোদন প্রতিবেদক

একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মাহবুবা ইসলাম রাখি প্রায় অনেকদিন ধরেই নেই শোবিজে। অল্প সময়েই বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানেই নিজেকে স্থায়ী করে নিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি করছেন চাকুরিও। সেইসাথে সেখানের শোবিজে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন সময়ে।

নতুন খবর হলো, ৭ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমানো এই মডেল এবার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেলেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানান এই লাক্সতারকা। অট্রেলিয়ার ওয়ানেরো শহরের মেয়র ট্রেসি রবার্টস গেল ২৮ অক্টোবর মাহবুবা রাখির হাতে সেখানকার নাগরিকত্ব সনদ হাতে তুলে দেন।

স্ট্যাটাসে রাখি লিখেন, ২৮ শে অক্টোবর আমি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানেরো সিটির জন্য নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমি ২০১৩ সালের  জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়া এসেছি এবং সুন্দর এই দেশটিতে আমি ৭ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছি। এখানে আমি এসেছিলাম স্টুডেন্ট ভিসায় এরপর স্নাতক ভিসা, স্থায়ীভাবে আবাসিক ভিসা এবং অবশেষে দেশটির নাগরিকত্ব পাই। নিজেকে এখন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বলতে পেরে আমি গর্বিত। তবে আমি সর্বদা হৃদয়ে বাঙালি হয়েই থাকব।

২০১৩ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান রাখি। সেখানে পার্থের এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইসিইউ) ব্যাচেলর অব টেকনোলজি (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কম্পিউটার সিস্টেম) বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করে ২০১৭ সালেই চাকরীতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্তুর্ভুক্ত স্ট্রাকচুরাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সেখানকার ‘উড গ্রুপ অব কোম্পানি’ তে কর্মরত আছেন।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত রাখি বলেন, ‘আমি খুবই ধন্য এবং আনন্দিত। কারণ এই নাগরিকত্ব পেতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমি ২ বছর অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলাম। তারপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাকে এই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয়েছে। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে অবশেষে আমি এটি পেয়েছি।

এখন আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছি। যদিও আমি এখন এখানের নাগরিক তারপরও আমি আমার সারা জীবন এখানে কাটিয়ে দিতে চাই না। আমার ইচ্ছা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে দেখা ও থাকা। সেই স্বপ্নই দেখি।’

২০১৩ সালে বাংলাদেশী শোবিজ ছেড়ে দিলেও অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন অভিনয়ের সঙ্গে। অভিনয়ের উপর কোর্স করতে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ‘ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব পারফর্মিং আর্ট’ তে ভর্তি হন এবং কোর্স শেষ করে ডিগ্রী নেন এই লাক্সতারকা। শুধু তাই নয়, চাকুরীর পাশাপাশি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন অভিনয়েও। সেখানকার বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি যেগুলো সেখানকার বড় বড় হলে প্রদর্শিত হয়েছে।

রাখি বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে বেশ ভালো আছি। পরিবারের সঙ্গে আছি, চাকুরী করছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে। দেশে অনেকের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হয় না। আমার কাছের কয়েক জনের সঙ্গে হয়তো মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। এছাড়া তেমন কারও সাথে হয় না।

২০১০ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগীতার চ্যাম্পিয়ন হয়ে শোবিজে আসেন রাখি। বিপাশা হায়াতের রচনা এবং তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘বিস্ময়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর বিজ্ঞাপনে কাজ করে তুমুল আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে সিলন গোল্ড টি,স্কয়ার কোম্পানির চ্যাপস্টিক, প্রাণ ক্র্যাকো, মেরিল রিভাইভ ট্যালকম পাউডার, মেরিল রিপজেল, গ্লোব ক্রেকার্স ইত্যাদি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে প্রশংসিত হন। এর পাশাপাশি কাজ করেছেন মিউজিক ভিডিওতেও। শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালে চ্যানেল আই আয়োজিত রিয়ালিটি শো ‘হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে বেশ আলোচিত হন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন 

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/entertainment/137454/অস্ট্রেলিয়ার-নাগরিকত্ব-পেলেন-বাংলাদেশি-মডেল