ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিনারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৪ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে এবং ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ২০ বছর বয়সী উজ্জল রানা, ১৮ বছর বয়সী তাজেল ইসলাম, ২১ বছর বয়সী মো. জালাল, ৫৫ বছর বয়সী আব্দুল আজিজ ওরফে মিন্টু হাওলাদার এবং তার স্ত্রী ৪২ বছর বয়সী বিলকিস হাওলাদার।
মামলার বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ৬ মাস আগে গত ২৪ এপ্রিল প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া উজ্জল রানা ও তাজেল ইসলাম দুই জন মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে জালাল, মিন্টু হাওলাদার ও বিলকিস। লজ্জায় ও আসামিদের হত্যার হুমকিতে দীর্ঘদিন চুপ ছিলো কিশোরীও তার পরিবার। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায় কিশোরী ৫ মাস ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর মা থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ দেন। পরে রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরী মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কিশোরীকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরীর মা বলেন, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি আর স্বামী রিকশা চালায়। লকডাউনের মধ্যে মেয়েকে গ্রাম থেকে এখানে নিয়ে আসি। আমি ও আমার স্বামী দুইজন বাইরে কাজ করি। তার মধ্যে বুধবার মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নিয়ে মেয়ে গর্ভবর্তী। তখন জিজ্ঞাসা করলে জানায় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া জালাল ও বিলকিস হাওলাদার আমার মেয়েকে ডেকে তাদের রুমে নিয়ে যায়। ওই ঘরে উজ্জল রানা ও তাজেল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। আর বাইরে থেকে জালাল ও বিলকিস পাহারা দেয়। পরে আমার মেয়ে অসুস্থ হলে দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ায়। আর সুস্থ হলে সবাই মিলে ভয়ভীতি দেখায়। যার জন্য এতো দিন কাউকে কিছু বলেনি।
তিনি বলেন, কয়দিন পর মেয়েরে বিয়া দিমু কেমনে। হেরা কয় মিমাংসা করতে। আমি মিমাংসা চাই না, হেগো বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, বিকেলে ওই কিশোরী নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়াও আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/137453/ধর্ষণের-ঘটনায়-গ্রেপ্তার-৫-অন্তঃসত্ত্বা-কিশোরী