হঠাৎ গরুশূন্য হাট

হঠাৎ গরুশূন্য হাট

হঠাৎ গরুশূন্য হাট

জার্নাল ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলো বৃহস্পতিবার জমজমাট বিকিকিনির পর হঠাৎ করেই কোরবানির পশুশূন্য হয়ে পড়েছে। গরু ব্যবসায়ী এবং হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাটে আসা প্রায় ৮৫ ভাগ গরু বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আনেকেই এবার পছন্দসই পশু কিনতে পারবেন না।

ফতুল্লা হাটের ব্যাপারী মফিজ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর গরু বেচাকেনা শুরু হয়। সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা সব গরু বিক্রি শেষ করে ফেলেছি। এবারের মতো লাভে গরু কখনো বিক্রি করিনি।

হাটে গরু না পেয়ে ক্রেতা ইমরান বলেন, আমি শহরের মিশনপাড়া এলাকায় থাকি। রাত ৮টার পরই পরিচিতজনদের কাছে শুনতে পাই হাটে নাকি কেনার জন্য কোনো গরু পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার আমার গরু কেনার কথা। রাতেই খবরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফতুল্লা, কয়লাঘাট, জালকুড়ি, সাইনবোর্ড হাটে যাই। কিন্তু হাট ঘুরে কোথাও গরু পাইনি।

পুলিশ সদস্য মো. নাজমুল হাসান নাসিম বলেন, পাগলা (তালতলা), আলীগঞ্জ  গরুর হাট ঘুরলেও কোন গরু পাইনি। পরবর্তীতে শনির আখড়া হাট থেকে একটি গরু ক্রয় করি। ওই হাটেও বেশিরভাগ গরু শেষ।

রাতভর ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের হাট, সৈয়দপুর কয়লাঘাট, দুই নম্বর ঢাকেশ্বরী, জালকুড়ি, চিত্তরঞ্জন, আলীগঞ্জ, সিদ্ধিরঞ্জ ছয় নম্বরসহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে শত শত ক্রেতার। তবে, কোনো হাটেই পর্যাপ্ত পশুর দেখা মেলেনি। দুই-একটি হাটে গরু থাকলেও ছোট গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে লাখ টাকার ওপরে। ক্রেতারা অনেকে তাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে, বেশিরভাগ ক্রেতাই ঢাকামুখী রওয়ানা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/127251/হঠাৎ-গরুশূন্য-হাট