সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত কুয়েত ও দ. কোরিয়া

সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত কুয়েত ও দ. কোরিয়া

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কুয়েত এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত দুই দেশের রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আন সিয়ং ডু। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে কোরিয়া সবসময় প্রস্তুত।

মহেশখালীকে ডিজিটাল দ্বীপে পরিণত করতে কোরিয়া কাজ করছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান সিয়ং ডু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন মডেল হতে পারবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের সফলতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামের মানুষও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারসহ আইসিটি সর্ম্পকিত রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাত হতে পারে পরবর্তী রপ্তানি লক্ষ্য। ব্যাপক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোরিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।
 কোরিয়ায় কর্মরত ১৪ হাজার বাংলাদেশির প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত জানান, তাদের স্বাস্থ্য ও আবাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার দেশের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।
 
তারপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষা‍ৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত।

সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে কুয়েতের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দেশের উন্নয়ন দেখে আমরা অভিভূত।

বাংলাদেশকে তার ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত এ এইচ হায়াত।

উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, কুয়েতের কঠিন সময়ে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা আপনার নেতৃত্বের গুরুত্ব দেই।

এসময় কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসর্ম্পকের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, কুয়েত আমাদের হৃদয়ে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে কুয়েতের প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা অনেক পরিশ্রমী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কুয়েতে আরও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কুয়েতের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।