টি-টোয়েন্টিতেই চেনা রূপে ভারত

টি-টোয়েন্টিতেই চেনা রূপে ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক :  ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, ভারত টি-টোয়েন্টিতে’- বাংলা প্রবাদটা এভাবে একটু বদলে লিখলে কেমন হয়! ভারতের ক্ষেত্রে সম্ভবত একটুও অত্যুক্তি হবে না। আইপিএলের কারণে ভারত যে এখন টি-টোয়েন্টিরই আরেক নাম, সেটাই বা অস্বীকার করার উপায় কী! অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত যা করল, তাতে অস্বীকার করার আরও উপায় থাকে না।

যে দলটি রানের পর রানের বন্যা বইয়েও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। সেই দলটিই কি না টি-টোয়েন্টিতে এসে পুরোপুরি বদলে গেলো! প্রথম ম্যাচেই ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে। বিরাট কোহলির দুর্ধর্ষ ব্যাটিং এবং বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সামনে উড়ে গেলো বলা যায়, অস্ট্রেলিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নেমেছে নতুন অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চের নেতৃত্বে। নতুন অধিনায়কে অবশ্য বদলেও গেছে অসিরা। সেটা অবশ্যই নেতিবাচক। ভারতের করা ৩ উইকেটে ১৮৮ রানের বিশাল ইনিংস তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই ১৫১ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ফলে, ৩৭ রানে পরাজয় বরণ করতে হলো তাদের।

টস জিতে ফিঞ্চ প্রথমে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন ধোনিকে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন রোহিত শর্মা। ২০ বলে ৩১ রান করার পর অবশ্য তাকে তুলে নেন ওয়াটসন। একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন অভিজ্ঞ অসি অলরাউন্ডার। রোহিতের পর ফেরান শিখর ধাওয়ানকেও।

তবে স্বাগতিকদের আনন্দ ওই পর্যন্তই। কারণ, তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়না মিলে গড়ে তোলেন ১৩৪ রানের বিশাল এক জুটি। ৩৪ বলে ৪১ রান করে রায়না আউট হলেও বিরাট কোহলি এক প্রান্তে ঝড় তুলেই চলছিলেন। ৫৫ বলে ৯টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় ৯০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন কোহলি। মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে ভারত। ওয়াটসন ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বাকি উইকেটটি নেন জেমস ফকনার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে অ্যারোন ফিঞ্চ মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। তবে জসপ্রিত ভুমরাহ জুটি ভেঙে দেয়ার পরই গতি হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ আর ফিঞ্চ মিলেও চেষ্টা করেছিলেন অসিদের জয় উপহার দিতে। ৪২ রানের জুটি গড়ার পর এ জুটিও যখন ভেঙে যায়, তখনই জয়ের সব আশা শেষ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ভুমরাহ টি, অশ্বিন, জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডে ২টি করে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশ করে ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৫১ রানেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।

২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন যুবরাজ শিং। প্রায় ২ বছর বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছেন যুবরাজ সিং। তবে, ব্যাট করার সুযোগ তো পানইনি, বোলিং করেছেন মাত্র ১ ওভার। রান দিয়েছেন ১০টি।