'খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা ক্ষমতার অপব্যবহার'

'খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা ক্ষমতার অপব্যবহার'

রাজনীতি ডেক্স : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো মামলা, দুর্নীতি মামলা নয়, এটি হলো ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলা বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির কার‌্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রোববার তিনি এ কথা বলেন।খন্দকার মাহবুব আরো বলেন, আপনারা এ মামলাগুলোকে দুর্নীতির মামলা বলবেন না। টিভিতে দুর্নীতির মামলা বলে ঢালাও ভাবে প্রচার করবেন না।

এগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলা। এ মামলা গুলোর একটি হলো নাইকো মামলা। যে মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে আগামীকাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি। বিচারে বিষয়টি প্রমাণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া প্রমূখ।

গত ১৮ জুন নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তি করে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।