ছিলিমপুর স্কুলের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল দর্পণ :
সাবেক সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান একজন কট্টর আওয়ামীলীগার। সে একজন রাজ পরিবারের সদস্য। তার চাচা ছিলেন আঃ ছামাদ। যিনি আইয়ুব খান কর্তৃক তোংগাই খেদমত উপাধি পেয়েছিল যুদ্ধের সময় ব্যবহার করার জন্য ৬৫ টি বাস দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। বর্তমান জামালপুর বাসষ্ট্যান্ড তার ফেলে আসা জায়গায় (ছামাদের)। যুদ্ধের সময় সে জামালপুর থেকে বোরখা পড়ে পালিয়ে আসে।
সাবেক সভাপতি মজিবর তার ভাতিজা। সে আওয়ামী সরকারের আমলে সভাপতি ছিল। সে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু বলে সেই ক্ষমতায় নানা অপকর্ম করেছে। স্কুলের লাখ লাখ টাকা মেরে খেয়েছে। কিছুদিন আগেই তারই আপন ভাতিজাদের সাথে স্কুলের পদ নিয়ে মামলা মোকদ্দামা চলেছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রির প্রভাব খাটিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই স্কুল রং করার নামে ৪ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে মেরে খেয়েছে। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দে কে ৩৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। এটা এলাকার মানুষ সবাই জানে।
প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতাদের আড়াল করে তার পরিবারের সদস্যদের ছবি স্কুলের দেয়ালে টাংগিয়ে রেখেছে, যেখানে রাজাকারের ছবিও টানানো আছে। অথচ প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম মাষ্টারকে আড়াল করা হয়েছে।
টাকা খেতে পারেন না বলে এলাকার কাউকে স্কুলে মাষ্টারির চাকুরী দেন না। তার ব্যাক্তিগত খরচও স্কুল ফান্ড থেকে করে এমন নানা অভিযোগ প্রমানিত তার বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি তার অপকর্মের জন্য আইনের হাতে সোপার্দ করা।