মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

বাংলাদেশ

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়ারও দাবি করেছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আমির খসরু, শফিউল ইসলাম, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সেই মামলায় জান্নাত আরা ঝর্ণা যে বক্তব্য দিয়েছে আমরা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই বক্তব্যর সত্যতা পেয়েছি। যদিও এটি একটি বিচারাধীন বিষয়। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ঝর্ণাকে বিয়ের সাক্ষী, কাবিননামা, দেনমোহর এমন কি কোনো লিখিত কিছুই মামুনুল হকের কাছে নেই। তার একাধিক বাড়িঘর ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে যার কোনো আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। প্রতিমাসে সে এক কোটি টাকা অনুদান পেত। ধারণা করা হচ্ছে- সেই অনুদানের টাকা দিয়েই সে বাড়িঘর করেছে।’

পুলিশ সুপার জানান, মামুনুল হক একাধিক মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। এসব মাদ্রাসার নামে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন। কিন্তু সংগ্রহ করা বেশির ভাগ অর্থই মাদ্রাসার ছাত্রদের পেছনে ব্যয় না করে তিনি নিজেই ব্যবহার করতেন এবং বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের কাজে অর্থ ব্যয় করতেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের উচ্চাভিলাষ থেকে ধর্মভিত্তিক দলের নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি বলেন, তার অর্থনৈতিক লেনদেনের বেশির ভাগ আইনসিদ্ধ নয়, আইনগত বৈধতা নেই।

এ সময় পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুনুল হক হরতালের তিন দিন গত ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জে এসে নেতা–কর্মীদের উজ্জীবিত করে যান। হরতালের নাশকতার তিন দিন পর ৩১ মার্চ তিনি আবার নারায়ণগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় এসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নারায়ণগঞ্জের আসার কথা স্বীকার করেছেন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমেও বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। হরতালের সহিংসতার পেছনে উসকানিমূলক বক্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাকিস্তানকেন্দ্রিক জঙ্গি সংগঠন ও দেশীয় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে মামুনুলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলই ছিল মামুনুলের মুল লক্ষ্য বলে জানান পুলিশ সুপার।

বাংলাদেশ জার্নাল-ওআই

 

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/162465/মামুনুলের-বিরুদ্ধে-ধর্ষণের-অভিযোগের-প্রমাণ-মিলেছে-পুলিশ