মসজিদ উন্নয়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মসজিদ উন্নয়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মসজিদ উন্নয়নের অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা পরিষদের দেয়া আর্থিক অনুদানের টাকা বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানিপুর দেওয়ান পাড়া...
রাজবাড়ী প্রতিনিধিরাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মসজিদ উন্নয়নের অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা পরিষদের দেয়া আর্থিক অনুদানের টাকা বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানিপুর দেওয়ান পাড়া পুরাতন মসজিদের সংস্কার কাজে ব্যয় করার কথা থাকলেও সে টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় না করে তা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে প্রকল্প সভাপতি মো. ফিরোজ দেওয়ান ও সেক্রেটারি কাজী লুৎফর রহমান।
গত কিছুদিন আগে জেলা পরিষদের দেয়া উন্নয়ন কাজের এক লাখ টাকার ৫০ হাজার টাকা ইতোমধ্যে উত্তোলন করে শুধু মাইক সেটের একটি যন্ত্র ক্রয় করেছেন তারা। মাইক সেটটি ক্রয় না করে সেটি কোনোরকম ভাবে রং করে মসজিদে টাঙানো হয়। ব্যাটারি ক্রয় করার কথা থাকলেও তা ক্রয় করেনি। অন্যথায় এ মসজিদের ভেতরের সিলিংটি গত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এমএ খালেক তিনি থাকাকালীন সময়ে ১ লাখ টাকা অনুদান পেয়ে তা সম্পন্ন করা হয়েছিলো।
অথচ এই কাজটিও দুইজন মিলে নতুন কাজ হিসেবে বর্তমান সময়ে করেছেন বলে দেখিয়েছেন। অথচ কোন কাজই করেননি তারা। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে বাদ দিয়ে মো. ফিরোজ দেওয়ান ও লুৎফর রহমান নিজেদের সভাপতি ও সেক্রেটারি বানিয়ে জেলা পরিষদ থেকে এ টাকা উত্তোলন করেছেন। বাকি ৫০ হাজার টাকা এখনো তুলতে পারেনি। তবে এ টাকাগুলো উত্তোলন করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাকি টাকা উত্তোলন করতে পারলে সম্পন্ন টাকাই আত্মসাত করার ধান্দায় রয়েছেন তারা। জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী বরাবর অনিয়ম ও দুর্নীতির এমনই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামের মো. শাহিন ফকির। তিনি বিষয়টি জরুরিভাবে তদন্ত করে উপরোক্ত উন্নয়ন কাজের সভাপতি ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।
উক্ত উন্নয়ন কাজের প্রকল্প সভাপতি মো. ফিরোজ দেওয়ান বলেন, একটি পক্ষ তার সুনাম নষ্ট করতে তার পেছনে লেগেছে। তিনি এই ধরনের লোক নন। জেলা পরিষদ থেকে যে টাকা পেয়েছেন তা দিয়ে তিনি মসজিদের টিন, সিলিং, মাইক, মাইকের মেশিনসহ অন্যান্য কাজ করেছেন। তবে টিন ক্রয় ও সিলিংয়ের কাজ গত উপজেলা চেয়ারম্যানের সময়ে হয়েছে এ প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানিপুর দেওয়ান পাড়া পুরাতন মসজিদের সভাপতি দেওয়ান মোকলেসুর রহমান খোকন বলেন, মসজিদের উন্নয়ন কাজের অর্থ তারা কিভাবে জেলা পরিষদ থেকে তাকে না জানিয়ে এবং সে সভাপতি থাকা অবস্থায় তাকে ছাড়া এ অর্থ উত্তোলক করেছে তা তিনি জানে না। আর এ অর্থ দিয়ে মসজিদেও একটি যন্ত্র ক্রয় ছাড়া আর কোন কিছু করেননি। মসজিদের সিলিংয়ের কাজটি গত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এমএ খালেক থাকার সময় তিনি ১ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ছিলেন। সে টাকায় সিলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিলো। তা ছাড়া এ কাজটি তারা দুজন করেননি। এ টাকাগুলো দুজন মিলে আত্মসাত করেছে বলে জানান।
বসন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, মসজিদের উন্নয়নে টাকা মসজিদে যদি খরচ না করে তা আত্মসাত করা হয় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা পরিষদকে অনুরোধ জানান।
জেলা পরিষদের সিনিয়র প্রকৌশলী শ্রী ভাস্ক মৃধা জানান, জেলা পরিষদে দেয়া কোন অভিযোগ তিনি এখনো হাতে পাননি। যদি মসজিদের টাকা মসজিদের কাজে খরচ না করে তা আত্মসাত করা হয় তাহলে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/161695/মসজিদ-উন্নয়নের-টাকা-আত্মসাতের-অভিযোগ