কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, শহর ছাড়ার নির্দেশ
কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, শহর ছাড়ার নির্দেশ
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের পর স্থানীয় সময় রোববার এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এএফপির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
জার্নাল ডেস্ককঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের পর স্থানীয় সময় রোববার এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এএফপির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা আসার আগেই শহরটির হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়া শুরু করেছেন। শহরটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গোমা শহর থেকে নাইরাগঙ্গো আগ্নেয় পর্বতের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল)। সর্বশেষ এই পর্বতটিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল ২০০২ সালে। সে সময় অগ্নুৎপাতের ফলে মারা গিয়েছিলেন প্রায় আড়াইশ’র মতো মানুষ, বাস্তুহারা হয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার।
এর আগে বিস্ফোরণ হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। সে সময় মারা গিয়েছিলেন ৬ শতাধিক মানুষ।
নাইরাগঙ্গো বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু গত কয়েক বছর এর গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছে না গোমা আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা; কারণ, এই প্রকল্পটি ওয়ার্ল্ডব্যাংকের দানের টাকায় চলত এবং দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকবছর আগে ওয়ার্ল্ডব্যাংক প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
রোববার কঙ্গোর যোগাযোগ মন্ত্রী প্যাটট্রিক মুইয়াইয়া এক টুইট বার্তায় বলেন, গোমা শহরকে খালি করার ঘোষণা কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে।
কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের সামরিক গভর্নর অফিস থেকে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়। কর্তৃপক্ষ কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/160694/কঙ্গোতে-আগ্নেয়গিরি-বিস্ফোরণ-শহর-ছাড়ার-নির্দেশ