ইন্তেকাল করেছেন ওমানের শাসক সুলতান কাবুস

ইন্তেকাল করেছেন ওমানের শাসক সুলতান কাবুস

ইন্তেকাল করেছেন ওমানের শাসক সুলতান কাবুস

১৯৭০ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন সুলতান কাবুস

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদ মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

মৃত্যুর আগে ওমাসের সুলতান কাবুস ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ১৯৭০ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সুলতান কাবুস। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওমান শাসন করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদ মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সে দেশের সরকারি সরকারি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

সংস্থাটি জানায়, ‘অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয়ে ওমান সালতানাতের রাজ দরবার থেকে জানানো যাচ্ছে যে, সুলতান কাবুস বিন সাইদ আর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্লাহ তাকে নিজের কাছে তুলে নিয়ে গেছেন।’

ওই বার্তায় সুলতান কাবুসের গৌরবময় শাসকাল এবং তার প্রজ্ঞার কথাও তুলে ধরা হয়।

জানা যায়, মৃত্যুর আগে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত ভুগছিলেন সুলতান কাবুস। দীর্ঘদিন ধরে রোগভোগের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে ওমানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত সুলতানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তিনদিন ধরে তার মরদেহ রাজ দরবারে রেখে দেয়া হবে। এছাড়া তার মৃত্যুতে ৪০ দিন ধরে অর্ধনমিত রাখা হবে দেশের জাতীয় পতাকা।

আরব বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী শাসক ছিলেন সুলতান। তিনি ১৯৭০ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওমান শাসন করেছেন। ওমানকে একেবারে জীর্ণ দশা থেকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে সুলতান কাবুসের অনন্য অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে তিনি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন।  চিকিৎসার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে তার লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা নিয়ে দেশটির ৪৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মনে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে ।  

জার্মানি ও বেলজিয়ামে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি রাজধানী মাসকাটে ফিরেছিলেন সুলতান কাবুস। এরপরই তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো।

তার কোনো সন্তান সন্ততি কিংবা ভাই নেই। ফলে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তিনি নিজের উত্তরাধিকার ঘোষণার জন্য দেশের উত্তরাধিকার প্রক্রিয়া সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও তিনি কাকে নিজের উত্তরাধিকার মনোনীত করেছেন সেটি কখনও প্রকাশ করেননি। তাই তার মৃত্যুর পর ওমানের সুলতানের দায়িত্বভার কে নিবেন তা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে।

এমএ/

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/102878/ইন্তেকাল-করেছেন-ওমানের-শাসক-সুলতান-কাবুস