সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিচ্ছে হালদাভ্যালী চা বাগান

সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিচ্ছে হালদাভ্যালী চা বাগান

সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিচ্ছে হালদাভ্যালী চা বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ফরেস্ট রেঞ্জ এলাকায় সরকারী সংরক্ষিত বনভূমি স্কেভেটর দিয়ে কেটে জবর দখলে নিচ্ছে হালদাভ্যালী চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

বন বিভাগের বাধা এবং আদালতের স্থিতাবস্থা উপেক্ষা করে সরকারী ভূমি দখলের প্রচেষ্ঠায় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।

বন বিভাগের ক্রমাগত বাধা সত্ত্বেও নববর্ষের প্রথম দিন সকাল হতে দেদারছে স্কেভেটর দিয়ে রামগড়-সীতাকুন্ড রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার সংরক্ষিত বনের বাদুরখিল ব্লকের বাদুরখিল মৌজার পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় নারায়ণহাট ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী রাইজিংবিডিকে জানান, বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি ক্রমাগত জবর দখল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় বনবিভাগ বিভিন্ন সময়ে হালদাভ্যালী চা বাগানের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম গং এর বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি/ভূজপুর থানায় এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালতে নারায়ণহাট রেঞ্জের বালুখালী বিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে প্রায় ১৫/২০টি মামলা দায়ের  করেছে।

পাশাপাশি চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বন বিভাগ কর্তৃক অপর-৩০৬/২০১৬ নম্বর মামলা দায়ের করে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করা হলে বন বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত ফটিকছড়ি উপজেলার বাদুরখিল মৌজার আর. এস দাগ নং- ২২৯, ৩০০, ৩৯৭, বি. এস ৪১২, ৪১৪, ২০০ নং দাগসহ অপরাপর ৯৫২.৯৬ একর সংরক্ষিত বনভূমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন।

কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভঙ্গ করে হালদাভ্যালী চা বাগান কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত বনের পাহাড় কাটা, জবরদখল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সংরক্ষিত বন দখল প্রচেষ্ঠায় সরকারি বনভূমি বেদখল হওয়ার পাশাপাশি সরকারি বন উজার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে হালদাভ্যালী চা বাগানের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।




চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2QescAG