থাপ্পড় খেয়ে কিছুটা শান্ত মার্কিনিরা!

থাপ্পড় খেয়ে কিছুটা শান্ত মার্কিনিরা!

থাপ্পড় খেয়ে কিছুটা শান্ত মার্কিনিরা!

থাপ্পড় খাওয়ার পর কিছুটা শান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ। পার্স ট্যুডে তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাপ্পড় খাওয়ার পর কিছুটা শান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ। পার্স ট্যুডে তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

হাজিযাদেহ বলেন, মার্কিন বাহিনী সতর্ক ছিল, তারা হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছিল। এ কারণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি বিমান ও ড্রোন সব সময় ইরাকের আকাশে নানা তৎপরতা চালাচ্ছিল। তারা আমাদের চপেটাঘাতের অপেক্ষায় ছিল। থাপ্পড় খাওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হয়েছে।

গত বুধবার ইরাকে দু’টি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। ওই হামলায় ‘ফতেহ-৩১৩ এবং ‘কিয়াম’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। ফতেহ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজয়ী এবং কিয়াম মানে জাগরণ। ফতেহ-৩১৩ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচশ কিলোমিটার আর কিয়ামের সাতশ কিলোমিটার।  এ তথ্য জানিয়েছেন।

আলী হাজিযাদেহ বলেন, আমরা ইরাকে অবস্থিত দু’টি মার্কিন ঘাঁটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছি। তবে আমরা প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম উভয় পক্ষ সংযম না দেখালে যুদ্ধ সীমিত পর্যায়ে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ চলবে। এ জন্য আমরা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিলাম।

অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আরও জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এর ফলে মার্কিন ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। আর এ ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মনোবল ভেঙে যায় এবং তারা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে।

ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন আল আসাদ ঘাঁটির কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/102763/থাপ্পড়-খেয়ে-কিছুটা-শান্ত-মার্কিনিরা