হিমশীতল চিররাত্রির শহরে

হিমশীতল চিররাত্রির শহরে

হিমশীতল চিররাত্রির শহরে

বিশেষ

বর্ষায় দু একদিন মেঘলা আকাশে সূর্য দেখা না গেলেই আমরা হাঁপিয়ে উঠি। আর এই শহরে টানা ৪০ দিন সূর্য ওঠেই না। আকাশে মেঘ নয়। দিগন্ত রেখার ওপরে ওঠে না সূর্য। তখন এখানে চির অন্ধকারের রাত। আবার বছরে দুমাস সূর্য অস্তই যায় না। রাশিয়ার এই শহরের নাম মারমানস্ক।
রাশিয়ার উত্তর পশ্চিম প্রান্তে কোলা উপকূলে মারমানস্কে একশো বছর আগে শুরু হয়েছিল জনবসতি। উত্তর মেরু বৃত্ত বা আর্কটিক সার্কলেরও উপরে থাকা এই শহরে লোকসংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এই শহর সাক্ষী থাকে পোলার নাইট এবং পোলার ডে-এর।
সাধারণত ২ ডিসেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি অবধি এই শহরে সূর্য দিগন্তরেখার উপরে ওঠে না। ২৪ ঘণ্টাই নিকষ অন্ধকারে এগিয়ে চলে জীবন। তখন এখানে পোলার নাইটস। আবার ২২ মে থেকে ২৩ জুলাই অবধি মারমানস্কে টানা দু মাস দিন। সূর্য অস্তই যায় না। নরওয়ে-ফিনল্যান্ডের সীমান্তে থাকা রাশিয়ার এই জনপদও তখন মধ্যরাতের সূর্যের দেশ।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আন্দাজ করেছেন এই শহরের আবহাওয়া কীরকম হতে পারে। মে থেকে জুলাই‚ আবহাওয়া হিমাঙ্কের উপরে থাকে। বাকি সময় পারদ কার্যত সবসময় থাকে ০ ডিগ্রির নিচে। হিমশীতল এই প্রান্তে গ্রীষ্ম ক্ষণিকের।
তবে তাই বলে কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। ইউরোপের যে কোনও উন্নত শহরের মতো এগিয়ে চলেছে মারমানস্ক। বরফের চাদরের উপর দিয়েই আছে ট্রেন এবং বাসের মাধ্যমে ইউরোপের অন্য শহরের সঙ্গে যোগাযোগ। আজব শহরে ভিড় জমান পর্যটকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরাও সাক্ষী থাকেন পোলার ডে এবং পোলার নাইটস-এর।
© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/special-report/95994/হিমশীতল-চিররাত্রির-শহরে