এলংজানি নদী ভাঙ্গন রোধ চাই!

এলংজানি নদী ভাঙ্গন রোধ চাই!

চিঠিপত্র ডেস্ক, টাঙ্গাইলদর্পণ.কম :

এলংজানি নদী ভাঙ্গন রোধ চাই!

এলংজানি নদী যমুনার শাখানদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এলংজানি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ০৭। মার্চ ও এপ্রিল মাসে পানি প্রবাহ থাকে না। বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ সবচেয়ে বেশি হয়। এলংজানি নদীটি একটি শান্ত নদী হিসেবেই পরিচিত।

বিগত কয়েক বছর যাবৎ এই নদীটি এক মহাদানবের রূপ ধারণ করেছে। বর্তমানে দেলদুয়ার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের অবস্থা ভয়ানক। অবহেলিত ফাজিলহাটি ইউনিয়নের গ্রাম নাল্লাপাড়া, মুন্সীনগর, টুকচাঁনপুর, এলাচিপুর, চড়পাড়া, কুমারজানী উত্তরপাড়া, শাহধারীপাড়া ও মেরুয়াঘোনাসহ অববাহিকার বেশ কয়েকটি গ্রাম এখন ভয়ানক নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। 


দুই বছর আগে শাহধারীপাড়া, মেরুয়াঘোনা, পানিশাইল, পাইকপাড়া, মাঝালিয়া ও কুমারজানী গ্রামের এক জনগুরুত্বপূর্ণ কুমারজানী উত্তরপাড়া নদী সংলগ্ন সড়কটি নদী গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই নদী ভাঙ্গন এর প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে নদী ও নদীর নিকটবর্তী জমি খনন করে অবৈধভাবে মাটি বা বালুর ব্যবসা করা। 

এলংজানি নদী ভাঙ্গন রোধ চাই!

প্রশাসনের সামনে অনেকটা নগ্নভাবেই প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে এই মাটি বা বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব আজ পড়ছে, মানুষ এখন জমি ও গৃহহীন হয়ে পড়ছে। এখন যদি এই নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে নদী তীরবর্তী বসত বাড়ি ছাড়াও নদী নিকটবর্তী মানুষের বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। 

ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারী অনুদান ও সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করা জরুরী। অগণিত মানুষের বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য এলংজানি নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য সরকারের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগীতা কামনা করছি! 


লেখক : মোহাম্মদ হেলালুজ্জামান