একাদশ জাতীয় সংসদ এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করে প্রজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করে প্রজ্ঞাপন

রাজনীতি ডেস্ক :
 
একাদশ জাতীয় সংসদ এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করে প্রজ্ঞাপন
 
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এ ছাড়া বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে জি এম কাদেরের নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে জিএম কাদেরকে সংসদীয় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

এর আগে সংসদীয় বিরোধী দলের নেতা প্রশ্নে কিছুটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন দশম সংসদের বিরোধীদল নেতা রওশন এরশাদ এবারো বিরোধীদল নেতা হতে পারেন। শপথ নেওয়ার পর পার্লামেন্টারি পার্টির অনির্ধারিত বৈঠকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেকে বিরোধীদল নেতা ও ছোটভাই জি এম কাদেরকে বিরোধীদলের উপনেতা ঘোষণা দেন।

এরপর ৫ জানুয়ারি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেকে বিরোধী দলনেতা ও ছোটভাই জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের উপনেতা ঘোষণা করে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে এরশাদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদে আপনি স্পিকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনি অবগত আছেন যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার জাতীয় পার্টি ২২টি আসনে বিজয় লাভ করে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তথা প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করেছে। নির্বাচনের এই ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দলের গঠনতান্ত্রিকভাবে পদাধিকার বলে আমি জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি পার্টিরও সভাপতি। এই প্রেক্ষাপটে আমি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (রংপুর-৩) প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লালমনিহাট-৩) বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ‘অতএব মহাত্মন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আপনার প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

এর চারদিন পরই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট।

আর মহাজোটের অংশীজন জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। তবে পরবর্তীতে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেয় এরশাদের নেতৃত্বাধীন দলটি।

আর বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৭টি আসন।