নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই : সিইসি

নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই : সিইসি

রাজনীতি ডেস্ক : 

নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই : সিইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

আজ মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 সিইসি বলেন, ৩০ তারিখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এর পর আর নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের মেয়াদপূর্তি হবে ২৮ জানুয়ারি। ৩০ ডিসেম্বর ভোট হলে নতুন সরকার গঠনের জন্য হাতে সময় থাকছে ২৯ দিন। এই ২৯ দিন কিন্তু খুব বড় কোনো সময় না। নির্বাচনের যে ফলাফলগুলো আসবে সেগুলোর গেজেট করা, এই ৩০০ আসনের গেজেট করা কিন্তু যা-তা বিষয় না।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশি-বিদেশি সব স্তরের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনো হয়েছে রাষ্ট্রপতিশাসিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের (কেয়ারটেকার সরকার) অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এ নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ থেকে, সরকার থেকে এই নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা এ জন্য আনন্দিত যে, এ নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। 

সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’
এখন থেকে নির্বাচনের সব দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন। ভোটের বুথ ছাড়া বাকি সবস্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। যে নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবেন, যে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- সেটিই হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’

তিনি বলেন, এ অবস্থা আপনাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনাদের। কীভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরি করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা সবাই যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের ওপর জনগণের সন্দেহ হবে না।’

প্রার্থী এবং রাজনীতিবিদরা সম্মানিত ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই এমপি ছিলেন, অনেকে যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মনিত ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগিতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধিতা করবে না।’

এর আগে গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। তফসিল অনুসারে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ ছিল ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ২২ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র : এবিনিউজ২৪।