বাদুড়ের অভয়ারণ্য সাগরদিঘী

বাদুড়ের অভয়ারণ্য সাগরদিঘী

স্টাফ রিপোর্টার :

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী সরকারি সেগুন বাগানটি এখন বাদুড়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদরের প্রায় ৩২ কি.মি. দূরে অবস্থিত এই সেগুন বাগান। 

শত বছরের পুরানো এই বাগানে শুরু থেকেই বাদুড়ের বসবাস। বাগানটিতে এখন বসবাস করছে অগণিত বাদুড়। এদের বসবাস, বিচরণ আর কিচিরমিচির শব্দে দিনরাত মুখরিত থাকে এলাকাটি।

সন্ধ্যায় বাদুড়ের ছোটাছুটিতে এলাকাটিতে সৃষ্টি হয় সৌন্দর্যের অবর্ণনীয় এক পরিবেশ। আকাশের দিকে তাকালে এদিক সেদিক দেখা যায় উড়ন্ত বাদুড়ের দল। গোধুলী রক্তিম আকাশে শত শত বাদুড়ের ডানামেলা দৃশ্যে এলাকাটিকে মনে হয় প্রকৃতির এক অপার সৌর্ন্দযের বেলাভূমি।

খাদ্যের সন্ধানে পড়ন্ত বিকেলে উড়ে চলা বাদুড়গুলো দেখে মনে হয় আকাশ যেন কালো মেঘে ঢাকা।মনোরম এ দৃশ্য দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক প্রকৃতি প্রেমিরা ছুটে আসেন এখানে।

জানা যায়, বাদুড় পাখি হিসেবে পরিচিত হলেও মূলত এটি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাদুড়ই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যে উড়তে পাড়ে। পৃথিবীতে প্রায় ১২০০ প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। বাদুড়ের আদি বাসস্থান যুক্তরাজ্য। তবে বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশেই বাদুড় দেখা যায়। স্তন্যপায়ী এ প্রাণীর অন্যতম খাদ্য হল ফলমূল। বাদুড় কিছু রোগের জীবানু বহন করলেও পরাগায়ণ সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে সাগরদিঘী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক মো. নাঈম উদ্দিন জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে সাগরদিঘী এলাকায় বাদুড়গুলো আশ্রয় নিয়ে আসছে। সারাদিন বাদুড়গুলো এই সেগুন বাগানেই থাকে। সন্ধ্যা হলেই খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সারাদিন বাদুড়ের কিচিরমিচির শব্দে বাগানের চারপাশ মুখরিত হয়ে ওঠে। তবে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাদুড়ের সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমে এসেছে।