গোপালপুর কলেজ সরকারি করণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে হরতাল-অবরোধের ঘোষণা

গোপালপুর কলেজ সরকারি করণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে হরতাল-অবরোধের ঘোষণা

নূর আলম, গোপালপুর প্রতিনিধি : একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামী'র প্রতিষ্ঠিত কলেজ সরকারিকরণের প্রতিবাদে আজ শনিবার গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে দুই দিনব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে আগামী রবিবার দিনব্যাপি অবরোধ এবং সোমবার হরতাল পালিত হবে বলে জানানো হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপালপুর কলেজকে দুই বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রনালয় সরকারিকরণের কথা জানায়। এজন্য কলেজের সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত ৩০ জুন প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকে সারা দেশের ১৯৯টি কলেজ সরকারিকরণের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে গোপালপুর কলেজের পরিবর্তে গোপালপুর মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গোপালপুর কলেজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। কলেজের ১৭১ শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। সেই ঐতিহ্যবাহি প্রাচীন কলেজ বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে জড়িত আব্দুস সালাম পিন্টু কর্তৃক ১৯৯৫ প্রতিষ্ঠিত মেহেরুনেচ্ছা মহিলা কলেজ সরকারিকরণের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। 

একটি কুচক্রী মহল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ভুল তথ্য দিয়ে জঙ্গী নেতার কলেজকে সরকারিকরণের ব্যবস্থা করেছে। আওয়ামীলীগ কর্মীরা যে কোনো মূল্যে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত মেহেরুনেচ্ছা মহিলা কলেজকে সরকারিকরণের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস চত্বরে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আকন্দ, শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মানিকুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা প্রকৌশলী খন্দকার গিয়াস উদ্দীন, যুবলীগ নেতা আনোয়ারুল হক বুলবুল, অধ্যাপক গোপাল চন্দ্র দাস, প্রভাষক মোজাম্মেল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক ফরিদ, কলেজ ছাত্রলীগেরর সভাপতি নূরন্নবী সোহাগ প্রমুখ। 

এদিকে আওয়ামীলীগের স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের ডিও লেটার ও সুপারিশে মেহেরুনেচ্ছা কলেজ সরকারিকরণের তালিকাভূক্ত হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাংসদের এ বিতর্কিত কাজের প্রতিবাদ জানাতেই উপজেলা আওয়ামীলীগ এ হরতাল-অবরোধ ডেকেছে বলে জানান দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।