সখীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ ও নির্বাচনের দাবিতে কুশপুত্তলিকাদাহ ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা।

সখীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ ও নির্বাচনের দাবিতে কুশপুত্তলিকাদাহ ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা।

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :  নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদের বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘন্টা সময় সীমার মধ্যে পদত্যাগ না করায় টাঙ্গাইলের সখীপুরের যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুলসহ পরিষদের ১৩ সদস্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন। সমাবেশ শেষে পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুলের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এর আগে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নলুয়া বাজারের কয়েকটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কর্মসূচিতে ‘যাদবপুর’ ও নবগঠিত ‘বহুরিয়া’ ইউনিয়নের কমপক্ষে দুই সহ¯্রাধিক জানসাধারণ অংশ নেয়।

এদিকে ওই পরিষদ আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে পরিষদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন বক্তারা। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানানো হয় সমাবেশে। বক্তারা ওই দুইটি ইউনিয়নে বর্তমান তফসিলে নির্বাচন দাবি করেন।

নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডিএম শরিফুল ইসলাম শফির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি কুতুবউদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান, মির্জা রেজাউল করিম, বহুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নুরে আলম মুক্তা, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সাইফুল শিবলু, গোলাম কিবরিয়া সেলিম প্রমুখ।

চেয়ারম্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. সোহেলুর রহমান জানান, আমার জানামতে-চেয়ারম্যান সাহেব টাঙ্গাইল ও এক সদস্য উপজেলা পরিষদের সভায় গিয়েছেন। অন্যদের বিষয়ে আমার জানা নেই।

বিধিমালা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু বৃহত্তর এ যাদবপুর ইউনিয়নকে দুইটি ইউনিয়নে বিভক্তিকরণ করে নামকরণ ও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জটিলতা মামলায় গড়ায়। ফলে মামলার জটিলতার সুযোগে পাঁচ বছর মেয়াদী নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ১৪ বছর ধরে পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যাদবপুর ইউনিয়নে সর্বশেষ ২০০২ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছরের ইউপি নির্বাচন তফসিলে সখীপুরে ২৮ মে পঞ্চম দফায় ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও এতে যাদবপুর ও বহুরিয়া ইউনিয়নের নাম নেই।