গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে যুবারা

গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে যুবারা

স্পোর্টস ডেক্স : টানা দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার মাঠে নামবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ নামিবিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু এরপরেও ক্ষুদে টাইগারদের এই ম্যাচ হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। কোয়ার্টার ফাইনালের মোকাবেলায় শক্তিশালী ভারতকে এড়াতে হলে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। তাই নামিবিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়েই গ্রুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত করতে চায় যুবারা।

সাম্প্রতিক সাফল্য ও পারফরমেন্সের বিচারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলটিকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা। আগের আসর গুলোতে মূলপর্বে খেলাকেই সেরা সাফল্য গুনলেও এবার এ দলকে চ্যাম্পিয়ন দেখছেন অনেকেই। সে প্রত্যাশা মিটাতে কক্সবাজার স্টেডিয়াম থেকে রাজধানীতে ফিরতে চায় বাংলাদেশ। কালকের ম্যাচ জিতলে শেষ আটের লড়াইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। আর হেরে গেলে ৬ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় ভারতীয় যুব দলের মোকাবেলা করতে হবে।

অপরদিকে, ডিফেন্ডিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙ্গে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে নামিবিয়া। এছাড়া প্রথম ম্যাচে স্কটিশদের উড়িয়ে দিয়েছে দলটি। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে তারাও । তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান ভালো নয় তাদের। চারবারের মোকাবেলায় চারবারই হেরেছে তারা।
সোমবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে দলের অন্যতম প্রধান স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন গাজী বলেন, ‘আসলে নামিবিয়াকে নিয়ে ভাবছি না। আমরা স্বাভাবিক খেলাই খেলব। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে অন্য কারও সময় নাই।’

আগের দুই ম্যাচের মত এ ম্যাচেও আলাদা নজর থাকবে নাজমুল হোসেন শান্তর উপর। শেষ দুই ম্যাচে অর্ধশতক ও শতক করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই মাঠে নামবেন তিনি। সঙ্গে পিনাক, সাইফ, মিরাজরা জ্বলে উঠলে ঝলসে যেতে পারে যে কোন দল।

বরাবরই বাংলাদেশের শক্তির প্রধান দিক থাকে বোলিং। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অফস্পিনার সঞ্জিত শাহা নিষিদ্ধ হলেও ছন্দে রয়েছেন সালেহ আহমেদ শাওন গাজী, সাঈদ সরকার, আরিফুল ইসলাম ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়াও সঞ্জিতের পরিবর্তে এসেছেন মোসাব্বেক হোসেন শান। বল হাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন এই তরুণও।

অপরদিকে, এবারের আসরে দারুণ ধারাবাহিক নামিবিয়া। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর লড়াই করে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ দুই ওভার ছাড়া পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েই জিতেছে তারা। নামিবিয়া দলের অধিনায়ক জেইন গ্রিন বলেছেন, ‘ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। নিজেদের সামর্থ্যে আমাদের বিশ্বাস আছে, যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা ইতিবাচক মানকিতা নিয়ে নামব। ইতিবাচক মনোভাবে খেলব। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে আমরা চাইব জিততে।’

ব্যাটিংয়ে দারুণ ছন্দে আছেন দুই ওপেনার লফটি-এটন ও নিকো ড্যাভিন। এছারাও মিডেল অর্ডারে দারুণ খেলছেন অধিনায়ক জেন গ্রিন ও লোহান লরেন্স। বোলিংয়ে ভ্যান-লিঙ্গেন ও ফ্রিটজ কোয়েটজিকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন লফটি-এটন ও ভ্যান উইক। তাই এই ম্যাচে তিব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরতে হতে পারে বাংলাদেশ যুবাদের।