মৌশাকাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়! অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠদান

মৌশাকাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়! অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠদান

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী :  টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মৌশাকাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ বা পরিত্যাক্ত হওয়ায় নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে । দু’পাশে গুদাম ঘরের মতো দু’টি ক্লাশরুম । চলাচলের পথও অনেক সরু । গাদাগাদি করে বসা শিক্ষার্থীদের কোলাহল চেচামেচি লেগেই থাকে । ভাঙ্গাচোরা তিনটি শৌচাগার একটিও ব্যবহার উপযোগী নয় । আশে পাশের বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের  শৌচাগারের কাজ সারতে হয় । ভাঙ্গাচোরা একটি শৌচাগার ব্যবহার করে শিক্ষকরা । ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন, বেঞ্চ ও শ্রেণী কক্ষ সংকটে বারান্দায় গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠদান করা হয় ।

এ রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মৌশাকাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে পুরাতন ভবনটি নির্মান করা হয়েছিল । উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ প্রায় ২ বছর আগে পুরাতন ভবনটি  পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দুই কক্ষবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মান করা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫৯ জন। শিক্ষক আছেন পাঁচ জন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশ ফটকে বারান্দার দুু’পাশে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে । দু’পাশে গুদাম ঘরের মতো দু’টি ক্লাশরুম আছে । সেখানেও একই অবস্থা । এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনের বারান্দার মেঝেতে  চট বিছিয়ে প্রাক-প্রাথমিকের অবুঝ শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে। তিনটি শৌচাগারও ব্যবহার অনুপযোগী । বিদ্যালয়ের মাঠও নতুন ভবনের চেয়ে অনেক নিচু । একটু বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলী দেব জানান, এভাবে ক্লাস করানো অনেক কষ্টকর । গরমে বিদ্যুত চলে গেলেও ক্লাশ করানো বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। শৌচাগারের অভাবে আশে পাশের বাড়ি গিয়ে বাচ্চারা শৌচাগার ব্যাবহার করে । শিক্ষকরা একটি পরিত্যাক্ত শৌচাগার ব্যবহার করছে বলেও জানান তিনি। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে  ৫ টি নতুন ভবন নির্মান এবং ২০ টি ভবন জরুরী ভিত্তিতে  মেরামত করার জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুললাহ আল মামুন বলেন, বেশির ভাগ বিদ্যালয় ভবনই   আশি বা নব্বই এর দশকে নির্মান করা হয়েছে। সে কারনে প্রায় বেশির ভাগ ভবনই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে । তবে পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয় ভবনেরই কাজ করা হবে । ইতোমধ্যে বিদ্যালয় ভবনের এ অবস্থার কথা প্রতিবেদণ আকারে সংশিলষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে । তবে যে সব বিদ্যালয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে সেগুলো  দ্রæত সমাধান করা হবে ।