কলকাতার রাস্তায় গরুর মাংসের পার্টি

কলকাতার রাস্তায় গরুর মাংসের পার্টি


ওপারবাংলা ডেক্স : ভারতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিঞ্চুতার প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় প্রকাশ্যে গরুর মাংস খাওয়ার উৎসব করেছেন বুদ্ধিজীবী ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) একটি অংশ।

শুক্রবারের এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ উৎসবে কবি, নাট্যশিল্পী, রাজনৈতিক নেতারাসহ বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ উৎসবের বক্তারা উত্তর প্রদেশে এক মুসলিম ব্যক্তির গরুর মাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যা, কানাড়াভাষী প্রগতিশীল লেখক এম এম কালবুর্গি হত্যাকাণ্ড এবং দিল্লির কেরালা হাউসে পুলিশের কথিত অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বেসরকারি সংস্থা ‘ভাষা ও চিন্তা সমিতি’র উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ উৎসবটিতে অংশগ্রহণকারী অনেককে গরুর মাংস ভক্ষণ করতে দেখা গেছে। তার একে অপরকে গরুর মাংস খাইয়েও দিয়েছেন।
তবে আয়োজনে যারা গরুর মাংস খাবেন না তাদের জন্য ভেজিটেবল ও মিষ্টান্নের ব্যবস্থা ছিল।

‘নিজ রুচিতে খাবার’ ব্যানার বহনকারী প্রতিবাদকারীরা বলেন, গরুর মাংস নিষিদ্ধ করে ভারতের বহুত্ববাদের উপর আঘাত করা হচ্ছে, আর বহুত্ববাদই হল ভারতের ‘মূল সত্ত্বা’।

উপস্থিত প্রখ্যাত আইনজীবী ও সিপিআই-এম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের প্রতিবাদ ভণ্ডামির বিরুদ্ধে।”

ভারতে কী হচ্ছে সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ‘সজাগ’ আছেন বলে জানিয়েছেন কবি সুবোধ সরকার।
“তাই তারা এই প্রতীকী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। তাদের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে গরু খেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা,” বলেন সুবোধ।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটিয়ে সমস্যায় ফেলে মানুষকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।

তিনি বলেন, “তাই শান্তি নষ্ট করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে আমরা এক হয়েছি।”

এই প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, সংখ্যালঘুদের মনযোগ আকর্ষণ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “গরুর মাংসের এই উৎসব ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছে। সিপিআই-এম এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের উস্কানি দেয়ার জন্য এসব শয়তানি করছে।”

তথ্যসূত্র : বিডিনিউজ২৪।