ঝালকাঠিতে সাপ আতঙ্ক, ১৫ দিনে চারজনের মৃত্যু

ঝালকাঠিতে সাপ আতঙ্ক, ১৫ দিনে চারজনের মৃত্যু

টাঙ্গাইলদর্পণডটকম : জেলার সদর উপজেলার দুটি গ্রামে ব্যাপকভাবে সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত ১৫ দিনে অন্তত ২৫ জন সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসী সাপের খোঁজে সাপুড়ে দিয়ে ঘরের ভিটে খুঁড়ে ফেলছেন। সাপে কাটা রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না হাসপাতালে। শরণাপন্ন হতে হচ্ছে ওঝা-বৈদ্যের।

সরেজমিন জানা গেছে, সদর উপজেলার সাচিলাপুর ও দক্ষিণ কিস্তাকাঠি গ্রামে ব্যাপকভাবে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। সাপের আতঙ্কে গ্রাম দুটির লোকজন আলো জ্বেলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। প্রায় প্রতি রাতেই দু-তিনজন সাপের কামড়ের শিকার হচ্ছেন।

সাপ তাড়াতে সাপুড়ে এনে ঝাড়-ফুঁক দেওয়া এমনকি ঘরের ভিটে খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেও তিনজনকে সাপে কেটেছে।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ কিস্তাকাঠি গ্রামের রুবেল হোসেন ঢাকায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সাপের কামড়ে মারা যান। এর পর রিকশাচালক আলতাফ হোসেনকে সাপে কাটে। চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রামে মাহমুদা (১৪) ও সদর উপজেলার শাকিলাপুর গ্রামের রিকশাচালক সুলতানও সাপের দংশনে মারা যান।

কেউ আবার রাত হলে গ্রাম ছেড়ে ভয়ে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে বালু পড়া ও গর্ত খুঁড়ে সাপ বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন গ্রামবাসী।

সাপে কাটা রোগী পিয়ারা বেগম (৪০) বলেন, ‘আমি ভাত রান্না করছিলাম। চুলায় জ্বালানি কাঠ দেওয়ার সময় আমাকে সাপে কাটে। পরে গারুলী (ওঝা) এসে ঝাড় দিয়ে বিষ নামায়।’

ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন ঝালকাঠিতে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি সাপ নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রহিম গ্রাম দুটির সাপের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে জানান, সদর হাসপাতালে সর্প দংশন প্রতিষেধক ভ্যাকসিন থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হয়।