ঈশ্বরদীতে বড় ভাইয়ের নির্দেশে ধর্মযাজক হত্যাচেষ্টা
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫
টাঙ্গাইলদর্পণডটকম ডেক্স : পাবনার ঈশ্বরদীতে খ্রিষ্টান ধর্ম যাজক লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি জেএমবি পাবনার আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিবের (২২) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ হত্যাচেষ্টা এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে হয়েছে বলে প্রধান আসামি রাকিব স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব ওরফে তাওহিদ ওরফে রাজন ওরফে রফিককে বুধবার দুপুরে ডিবি এবং সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার টেবুনিয়া থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে রিমান্ডে নেয়ার আগে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব যাজক লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। হত্যাচেষ্টার সময় রাকিবের আঙুলে লুক সরকারের দেয়া কামড়ের দাগ এখানো রয়েছে বলে জানা গেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাকিবকে সদর উপজেলার টেবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিব একই এলাকার মজিদপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে মানিকের ছেলে।
পাবনার ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ও লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস জাগো নিউজকে জানান, গ্রেফতার রাকিবুল ধর্মযাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব যাজক লুক সরকারকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে তিনি নিজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে আরো জানিয়েছেন যে, উপরের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিনি লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা চালান। হত্যাচেষ্টার সময় রাকিবের আঙুলে লুক সরকার কামড় দিয়ে তাদের কাছ থেকে ছুটে আত্মরক্ষা করেন। ওসি বিমান কুমার দাস আরও জানান, লুক সরকারের দেয়া সেই কামড়ের দাগ এখানো রাকিবের আঙুলে রয়েছে। এদিকে অধিকতর কথিত বড় ভাই এবং রাকিবের আরেক সহযোগী শাকিলকে গ্রেফতারসহ এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে রাকিবকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে রাকিবকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর তাকে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর শুনানি শেষে দুপুর ১টার দিকে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড আদেশ দেয়ার পরপরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
গত ৫ অক্টোবর সকালে তিন যুবক মোটরসাইকেলযোগে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কে ভাড়া বাসায় ঢুকে ধর্মশিক্ষার নাম করে ঈশ্বরদীর ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওইদিন রাতে এ ঘটনায় লুক সরকার নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও পাবনা জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায়।
এরই এক পর্যায়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা থেকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১২ অক্টোবর পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ জেএমবিকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
এ ঘটনায় সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গ্রেফতারদের মধ্যে রাব্বি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া ঈশ্বরদী ও সদর থানা পুলিশ বাকি চারজনকে দুই দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব ওরফে তাওহিদ ওরফে রাজন ওরফে রফিককে বুধবার দুপুরে ডিবি এবং সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার টেবুনিয়া থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে রিমান্ডে নেয়ার আগে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব যাজক লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। হত্যাচেষ্টার সময় রাকিবের আঙুলে লুক সরকারের দেয়া কামড়ের দাগ এখানো রয়েছে বলে জানা গেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাকিবকে সদর উপজেলার টেবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিব একই এলাকার মজিদপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে মানিকের ছেলে।
পাবনার ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ও লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস জাগো নিউজকে জানান, গ্রেফতার রাকিবুল ধর্মযাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব যাজক লুক সরকারকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে তিনি নিজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে আরো জানিয়েছেন যে, উপরের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিনি লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা চালান। হত্যাচেষ্টার সময় রাকিবের আঙুলে লুক সরকার কামড় দিয়ে তাদের কাছ থেকে ছুটে আত্মরক্ষা করেন। ওসি বিমান কুমার দাস আরও জানান, লুক সরকারের দেয়া সেই কামড়ের দাগ এখানো রাকিবের আঙুলে রয়েছে। এদিকে অধিকতর কথিত বড় ভাই এবং রাকিবের আরেক সহযোগী শাকিলকে গ্রেফতারসহ এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে রাকিবকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে রাকিবকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর তাকে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর শুনানি শেষে দুপুর ১টার দিকে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড আদেশ দেয়ার পরপরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
গত ৫ অক্টোবর সকালে তিন যুবক মোটরসাইকেলযোগে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কে ভাড়া বাসায় ঢুকে ধর্মশিক্ষার নাম করে ঈশ্বরদীর ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওইদিন রাতে এ ঘটনায় লুক সরকার নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও পাবনা জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায়।
এরই এক পর্যায়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা থেকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১২ অক্টোবর পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ জেএমবিকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
এ ঘটনায় সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গ্রেফতারদের মধ্যে রাব্বি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া ঈশ্বরদী ও সদর থানা পুলিশ বাকি চারজনকে দুই দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠায়।