‘আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের উপরই ভ্যাট যাচ্ছে’

‘আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের উপরই ভ্যাট যাচ্ছে’

ডেক্স নিউজ : এ বছর কর্তৃপক্ষের ভ্যাট পরিশোধের বিষয়টি ‘সমঝোতা’ মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের উপরই এটা যাচ্ছে।’ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের উপরই এটা যাচ্ছে, এ বছর তারা (বিশ্ববিদ্যালয়গুলো) কিছুই চার্জ করছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যখন ফিস নির্ধারণ করবে, এটার একটা হিসাব নেবে।’

প্রান্তিক ক্রেতাকে ভ্যাট পণ্যের উপর ভ্যাট পরিশোধে করতে হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরই এটা পরিশোধ করতে হবে- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টিউশন যে তারা নিচ্ছে এটা কি প্রডিউস করছে? ইট ইজ প্রডিউসিং এডুকেটেড বয়, এডুকেটেড ইয়ংম্যান, এডুকেটেড ল্যাডিস। দ্যাটস দ্য প্রডাক্ট, এর ভ্যালু এডিশন তো আছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দারুন দারুন ভ্যালু এডিশন।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে আরোপিত ভ্যাট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেবে না সরকার তা কিভাবে নিশ্চিত করবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘এবার তো শিক্ষার্থীদের এ জন্য চার্জ দিতে হবে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতোমধ্যে কালেকশন করেছে সেখান থেকে দেবে।’

ভ্যাট হলে তো শিক্ষার্থী দেবে কিন্তু এনবিআর বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় দেবে। বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা কমপ্রোমাইজ করা হয়েছে। ছেলে-পেলেদের আপত্তির জন্য এনবিআর ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র যারা তারা মোটামুটিভাবে আমরা ধরি আমাদের দেশের অবস্থানে তারা যথেষ্ট বিত্তশালী। ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেটমেন্ট নিয়ে আমি হিসাব করে দেখেছি, তাদের দৈনিক খরচ এক হাজার টাকা। মাসে প্রত্যেকেই ৩০ হাজার টাকা খরচ করে। ৩০ হাজার টাকা যেখানে খরচ করে, সেখানে আমি কত চাচ্ছি? ৭৫ টাকা।’

‘সেটা না দেওয়ার কোন জাস্টিফিকেশন আমি বুঝি না। এটা এখন তো ইতোমধ্যে ব্যবস্থা হয়েছে, যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পয়সাটা দেবে। আমি তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না’ বলেন মুহিত।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি সেটা আলাদা ব্যাপার।’

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিকভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা বিচেনায় নিয়ে ভ্যাটের হার হ্রাস করে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়।

কিন্তু এ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের উদ্দেশ্যে ভ্যাট আরোপ করা হয়নি। বিদ্যমান টিউশন ফি’র মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ভ্যাটের অর্থ পরিশোধের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।