কুষ্টিয়ায় র‌্যালিতে গুলি ছুড়েছেন চাকরিচ্যুত এএসআই

কুষ্টিয়ায় র‌্যালিতে গুলি ছুড়েছেন চাকরিচ্যুত এএসআই

ক্রাইম নিউজ ডেক্স : কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসে র‌্যালিতে যে ব্যক্তি শটগানের গুলি ছুঁড়েছেন তিনি হলেন, পুলিশের চাকরিচ্যুত এএসআই আনিসুর রহমান। ঢাকার একটি থানায় কর্মরত থাকাকালে ফেনসিডিল আত্মসাতের দায়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন। গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবসে জেলা আওয়ামী লীগের র‌্যালি শেষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে মোমিনুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে সবুজ হোসেন নামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থক নিহত হন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

স্থানীয়ভাবে ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আনিসুর কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মমিজের বেয়াই। তিনি মমিজের লাইসেন্সকৃত শর্টগান থেকে গুলি ছুড়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে আনিসুর আত্মগোপনে আছেন। আনিচুর রহমানের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনার পর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই শটগানটি শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের ছিল। সেটি উদ্ধারে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।

আজ রবিবার সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক বলেন, নিহত সবুজের বাবা মোবারক হোসেন থানায় এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করবেন। রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের লাইসেন্স করা শটগান, শটগানের ৪৬টি গুলি, লাইসেন্স করা পিস্তলের ৬৪টি গুলি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে। তবে পিস্তল পাওয়া যায়নি। সবুজ এ সময় বাড়িতে ছিলেন না।

পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনা সম্পর্কে তিনি আশপাশের দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যিনি শটগানের গুলি ছুড়েছেন তাঁকে পুলিশ খুঁজছে। ঘটনার সময় পুলিশের গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখা হবে। ঢাকা ঝালুপাড়া গ্রামের দুই বাসিন্দা বলেন, মোমিনুর রহমানের নিকট আত্মীয় আনিচুর। চাকরি যাওয়ার পর থেকে তিনি মোমিনুরের সঙ্গে চলাফেরা করেন।- এবিনিউজ  অবলম্বনে।