কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: মৃতদেহ তুলে পুলিশের ময়নাতদন্তের আবেদন
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: মৃতদেহ তুলে পুলিশের ময়নাতদন্তের আবেদন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ঘোষণা করার পর কবর থেকে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
কুয়েট প্রতিনিধিখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ঘোষণা করার পর কবর থেকে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার পর খান জাহান আলী থানায় বিষয়টি নিয়ে জিডি করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ঘোষণা করার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা খান জাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান বলেন, যেহেতু সেলিম হোসেনের লাশ দাফন হয়ে গেছে তাই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের উপায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত। সে কারণে রবিবার দুপুরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করা হলে আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার।
এদিকে শিক্ষকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায় তার নিজ বাড়িতে। ওসি প্রবীর কুমার জানান, “মরদেহ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়েছে, সে কারণে খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন।“
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে সহ একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করার পরই তার মৃত্যু হয়।
কুয়েট প্রশাসন অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুর তদন্তে কুয়েটের ইল্যাক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দীন আহমাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/education/184031/কুয়েট-শিক্ষকের-মৃত্যু-মৃতদেহ-তুলে-পুলিশের-ময়নাতদন্তের-আবেদন