চলতি সপ্তাহেই তিন বার ভাঙলো শনাক্তের রেকর্ড
চলতি সপ্তাহেই তিন বার ভাঙলো শনাক্তের রেকর্ড
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের ৫ জন নগরের বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জনে। এরমধ্যে ৫৭৪ জন নগরের ও ৩৮৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিচট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত বাড়ছেই। শুধু চলতি সপ্তাহেই তিন বার ভেঙেছে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৬৬ জন। তারমধ্যে ১ হাজার ৮৫ জন নগরের ও ৩৮১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ হাজার ২১৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৯০৭ জন নগরের বাসিন্দা ও ২০ হাজার ৩১০ জন বিভিন্ন উপজেলার।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের ৫ জন নগরের বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জনে। এরমধ্যে ৫৭৪ জন নগরের ও ৩৮৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাব ও বিভিন্ন এন্টিজেন বুথে সর্বমোট ৩ হাজার ৯২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৮৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ৯৭ ও উপজেলার ৪৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ৮৮ ও উপজেলার ৫ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ৯৭ ও উপজেলার ৪৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ৯৫ ও উপজেলার ২২ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৯০১ জনের মধ্যে ৩২৮ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ১১৫ জন ও উপজেলার ২১৩ জন। চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহকারী কয়েকটি কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে।
এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরন ল্যাবে ২২৩টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরের ৭৬ ও উপজেলার ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ২৩৭ নমুনা পরীক্ষা নগরের ৯২ জন ও উপজেলার ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৪৩ জন ও উপজেলার ৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। আরটিআরএল ল্যাবে ২৮ নমুনা পরীক্ষা নগরের ৮ জন আর উপজেলার ১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৯ নমুনা পরীক্ষায় নগরে ২৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৩৪৯ জন ও উপজেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কেবল ৩ টি এর মধ্যে কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৫ জন, সাতকানিয়ার ৩৮ জন, বাঁশখালীর ১২ জন, আনোয়ারার ৭ জন, চন্দনাইশের ২৬ জন, পটিয়ার ৫ জন, বোয়ালখালীর ৪৮ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৩৮ জন, রাউজানের ৬২ জন, ফটিকছড়ির ৩৩ জন, হাটহাজারীর ৪৫ জন, সীতাকুণ্ডের ২৬ জন, মিরসরাইয়ের ১৯ জন ও সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৭ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তি মারা যান।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/168761/চলতি-সপ্তাহেই-তিন-বার-ভাঙলো-শনাক্তের-রেকর্ড